জুমবাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) সাজিয়ে আনার অভিযোগে গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু।
দুপুরে সারওয়ার্দীকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামি সারওয়ার্দীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। একই সঙ্গে রিমান্ড বাতিল চান। শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার। মামলায় সারওয়ার্দী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফীকে আসামি করা হয়েছে। মিয়া আরেফীকে গত সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন।
এর আগে, ২৮ অক্টোবর বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। রবিবার বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তবে রিমান্ডের আবেদন শুনানির সময় আদালতে সারওয়ার্দী দাবি করেছেন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি।
সারওয়ার্দীকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন—ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, জেলা পিপি শেখ হেমায়েত হোসেন অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল, আনোয়ারুল কবীর, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
অন্যদিকে সারওয়ার্দীর পক্ষে জামিন শুনানি করেন তামান্না ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।