জুমবাংলা ডেস্ক: বাড়িতে গোসল করার জন্য পানি ধরে রাখতে সপ্তাহখানেক আগে তৈরি করা হয় একটি বড় আকারের চৌবাচ্চা। সেই চৌবাচ্চার পাশে বসে গোসল করার সময় প্রাচীর ধসে পরিবারের গৃহকর্তা, তার সদ্য প্রসূত পুত্রবধূ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো দুই শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দুই শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাশহাটি গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) সপ্তাহখানেক আগে তার বাড়িতে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থ ও উচ্চতা বিশিষ্ট একটি চৌবাচ্চা নির্মাণ করেন। শুক্রবার দুপুরে আ. রহমান তার ছোট ছেলে মামুনের সদ্যপ্রসূত স্ত্রী সাউদা বেগম(২২), ছেলে শাহজাহানের শিশু সন্তান রোহান(৭) ও বড় ছেলে বাশার মিয়ার শিশু সন্তান রাব্বিকে(১৩) নিয়ে গোসল করছিলেন। চৌবাচ্চার পাশেই পানি উত্তোলনের জন্য বসানো হয়েছে একটি পাম্প। দুপুরে প্রথমবারের মতো চৌবাচ্চায় পানি মজুদ করে সেখানেই গোসল করতে যান তারা। এ সময় আচমকা চৌবাচ্চার দেওয়াল তাদের উপর ধসে পড়ে। এতে সকলেই দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন। বাড়ির লোকজন ছুটে এসে চারজনকে উদ্ধার করলেও সাউদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদের দ্রুত নান্দাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার সময় পথে মারা যান আব্দুর ররহমান। দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত সাউদা বেগম শবেবরাত রাতে সাদিয়া নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নিম্নমানের কাজের কারণে চৌবাচ্চাটি ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। সূত্র: সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।