প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায় শেষ হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। আগামীকাল (রোববার) ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টটির পর্দা নামবে। দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও আইসিসির এই মেগা প্রতিযোগিতায় আলোর মুখটা নিজেদের দিকে ফিরিয়েছেন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ। তেমনই ১০ তারকা ক্রিকেটার আছেন টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের দৌড়ে।
ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড) : ফাইনালের আগে চোটে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম প্রধান এই পেসার। ফলে ভারতের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ম্যাট হেনরি। ৪ ম্যাচে মাত্র ১৬.৭০ গড়ে তিনি ১০ উইকেট নিয়েছেন।
মিচেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড) : কিউই অধিনায়ক স্যান্টনার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন। শিরোপা জিতে ষোলকলা পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়েই নামবেন আগামীকাল। ৪ ম্যাচে তার ইকোনমি ছিল ঈর্ষণীয়, ৪.৮৫। ২৭.৭১ গড়ে তিনি ৭ উইকেট শিকার করেছেন।
বিরাট কোহলি (ভারত) : ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ভারতের দীর্ঘ সময়ের ভরসার জায়গা বিরাট কোহলি। সাবেক এই অধিনায়কের অধারাবাহিক ফর্ম নিয়ে আলোচনা থাকলেও, টুর্নামেন্ট শুরু হতেই তিনি সমস্ত জবাব দিয়েছেন ব্যাট হাতে। ৪ ম্যাচে ৭২.৩৩ গড়ে করেছেন ২১৭ রান। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ে নিয়েছেন ৭টি ক্যাচ।
শ্রেয়াস আইয়ার (ভারত) : দারুণ ফর্মে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার বর্তমানে ভারতের মিডল অর্ডারে অন্যতম শক্তির জায়গা। বিপর্যয় মুহূর্তেও তিনি দলের শক্ত ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৪ ম্যাচে ৪৮.৭৫ গড়ে তিনি করেছেন ১০৫ রান।
কেইন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড) : ইনজুরি থেকে ফেরার পর থেকেই দারুণ সময় কাটছে সাবেক কিউই অধিনায়কের। চলমান প্রতিযোগিতায় ৪ ম্যাচে তিনি ৪৭.২৫ গড়ে ১৮৯ রান এবং ৭টি ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন।
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড) : অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে দারুণ সব মাইলফলক গড়ছেন আরেক কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। চলতি আসরেই তিনি দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। ৩ ম্যাচে ২২৬ রানের পাশাপাশি ২ উইকেট এবং ৪টি ক্যাচও ধরেছেন এই অলরাউন্ডার। চোটের কারণে মিস করেছিলেন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ।
গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড) : এই কিউই তারকাও বর্তমানে ওয়ানডের ইনফর্ম ব্যাটারদের একজন। ব্যাটিং পজিশনটা নিচের দিকে হলেও, দলের জন্য খেলছেন কার্যকরী ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৪ ম্যাচে ১৪৩ রানের পাশাপাশি ২ উইকেট এবং ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন ফিলিপস।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান) : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ছিল আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত তেমনটি না ঘটলে ক্রিকেটবিশ্বকে বড় বার্তা দিয়ে গেছে একসময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। আর সেই কাজে সামনে থেকে ভূমিকা ছিল অলরাউন্ডার ওমরজাইয়ের। ৩ ম্যাচে ১২৬ রান, ৭ উইকেট এবং ২টি ক্যাচ নিয়েছেন এই আফগান তারকা।
বরুণ চক্রবর্তী (ভারত) : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আর তাতেই নিজের সামর্থ্য ও প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটি দেখিয়েছেন ভারতীয় রহস্য স্পিনার বরুণ। ২ ম্যাচে মাত্র ১৩ গড়ে তিনি ৭টি উইকেট নিয়েছেন। আছেন সেরা উইকেটশিকারির তালিকায় তিনে।
মোহাম্মদ শামি (ভারত) : চোট থেকে দীর্ঘ সময় পর ফিরলেও পুরোনো ছন্দ দেখাতে ভুল করেননি এই ভারতীয় পেসার। ৪ ম্যাচে ১৯.৮৮ গড়ে তিনি শিকার করেছেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।