চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত মৌসুমে সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান জায়ান্টদের হারিয়েই ফাইনালে ওঠে রিয়াল, পরে জিতে নেয় নিজেদের পনেরতম শিরোপা। তবে এবারের মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেই যেন একই সুতোয় বাধা পড়েছে দুই দল। গত রাতে ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নেমেছিল কার্লো আনচেলত্তি রিয়াল আর ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন, দুই দলই হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে।
গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদ মাঠে নেমেছিল ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে, আর বায়ার্নের প্রতিপক্ষ ছিল অ্যাস্টন ভিলা। রিয়াল-বায়ার্ন দুই দল্পই খেলেছে প্রতিপক্ষের মাঠে, ফিরেছে হারের স্বাদ নিয়ে। একই দিনে হেরেছে আরেক বড় দল আতলেটিকো মাদ্রিদও, সেটিও বেনফিকার বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে।
লিলের মাঠে গতকাল রিয়ালের গোলপোস্টের নিচে ছিলেন না থিবো কোর্তোয়া। তাঁর জায়গায় ছিলেন গতবারের নায়ক আন্দ্রে লুনিন। তবে শুরু থেকেই এ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিয়েছে স্বাগতিক লিল। তবে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও জালের দেখা পায়নি ফরাসি ক্লাবটি।
এদিকে রিয়ালের শুরুর একাদশে কাল ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে ছিলেন আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকা এন্দ্রিক। তবে গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। জালের দেখা না পাওয়া লস ব্লাঙ্কোসরা উল্টো গোল হজম করে বসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে।
এদুয়ার্দো ক্যামাভিঙ্গা হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় লিল, আর স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিলের জনাথন ডেভিড। এদিকে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে এন্দ্রিক ও মিলিতাওকে তুলে নিয়ে এমবাপে এবং লুকা মদ্রিচকে নামান আনচেলত্তি। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। ফলে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা দলটিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়েই।
এদিকে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে গতকাল হারতে হয়েছে বায়ার্নকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিনামো জাগরেবের জালে ৯ গোল দিয়েছিল বায়ার্ন। সেই বায়ার্নই কাল একবারও জালের দেখা পায়নি। ভিলা পার্কে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৭টি শট নিলেও একটি গোলও করতে পারেনি হ্যারি কেইনরা। উল্টো ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অ্যাস্টন ভিলাকে এগিয়ে দেন জন ডুরান। এই গোলেই শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে ফিরতে হয়েছে বায়ার্নকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।