জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নওয়াপাড়া গরুহাটে বিক্রির জন্য ‘বাংলার টাইগারকে’ রঙিন সাজে সাজিয়ে আনা হয়েছিল। ৩০ মণ ওজনের ‘বাংলার টাইগার’ কিনলে উপহার হিসেবে ফ্রি ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগল দেয়ার ঘোষণা থাকলেও বিক্রি হয়নি ষাঁড়টি। অবশেষে ‘বাংলার টাইগারকে’ ফিরতে হলো আবার নিজ খামারে।
মঙ্গলবার বিকালে ‘বাংলার টাইগারকে’ রঙিন সাজে সাজিয়ে হাটে ওঠানোর পর একনজর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমান।
এ বছরের কোরবানি ঈদ উপলক্ষে উপজেলার সরখোলা-ধোপাদী গ্রামের মাঝ এলাকায় অবস্থিত দারুল আসাদ খামারবাড়িতে ৩০ মণ ওজনের ‘বাংলার টাইগারের’ দাম চাওয়া হয়েছিল ১০ লাখ টাকা।
দারুল আসাদ খামারবাড়ির উদ্যোক্তা মো. আসাদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, কোরবানির হাটে গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। হাটে গরুটির দাম উঠেছে মাত্র পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এত অল্প দাম ওঠায় তিনি গরুটিকে বিক্রি করেননি। রাত সাড়ে ৮টার সময় ‘বাংলার টাইগার’ নিয়ে ফেরত নেয়া হয় নিজ খামারে।
মহামারী করোনাকালে গরুর দাম নেই বললে চলে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, ‘বাংলার টাইগারের’ মূল্য ৭ লাখ টাকা হলে তিনি তা বিক্রি করে দিতেন। তা ছাড়া সঙ্গে ১০ হাজার টাকা মূল্যের ছাগলটিকেও উপহার হিসেবে ফ্রি তুলে দিতেন। মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাম হওয়ায় তিনি তা বিক্রি না করে খামারে তুলেছেন।
তবে তিনি আশা করছেন, এবারের কোরবানি ঈদে হয়তোবা ‘বাংলার টাইগারকে’ বিক্রি করতে পারবেন না। তাই তিনি খামারে আবার ফেরত নিয়েছেন।
তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আরও জানান, গত সাড়ে তিন থেকে চার বছর ধরে তার খামারে পোষা এই ‘বাংলার টাইগারকে’ অতি যত্নে লালন-পালন করেছেন তিনি।
তার ধারণা, গরুটির ওজন ৩০ মণ হবে। তার দাঁতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়টিতে। ওই খামারের সবচেয়ে বড়া গরু হলো এটি।
সরেজমিন নওয়াপাড়া গরুহাটে গিয়ে দেখা যায়, বাংলার টাইগারকে’ একনজর দেখার জন্য গরুহাটের প্রায় সিংহভাগ মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
গরুটিকে দেখতে আসা মো. আছিব মোল্যা বলেন, এত বড় ধরনের গরু সাধারণত হাটে দেখতে পাওয়া যায় না। খবর শুনে তিনি বাংলার টাইগারসহ ছাগলটিকে দেখতে এসেছেন।
গরুহাটের ইজারাদার আকতার হোসেন জানান, মহামারী করোনায় এবারের কোরবানির ঈদে গরুর বাজার মন্দা, তাই ‘বাংলার টাইগার’ বিক্রি হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।