জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছাত্রকে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় মাদরাসাশিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার কামালপাড়া পশু হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, একইদিন বিকেলে এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। গ্রেফতার শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. তৌহিদ বলেন, শিশুটির বাবার করা মামলায় মাদরাসাশিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাটহাজারী পৌর এলাকার মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমির হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে দেখতে মাদরাসায় যান তার মা। দেখা শেষে বিকেল ৫টার দিকে মা চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে যেতে কান্নাকাটি শুরু করে ওই ছাত্র। কান্নার একপর্যায়ে সে মায়ের পিছু নিয়ে মাদরাসা থেকে ২০০ মিটার দূরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের কনক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চলে যায়।
এ সময় মাদরাসাশিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াও ওই ছাত্রের পিছু নিয়ে তাকে ধরে মাদরাসায় নিয়ে আসেন। আসতে না চাইলে তাকে টেনেহিঁচড়ে মাদরাসার ভেতর নিয়ে বেত দিয়ে নির্মমভাবে পেটান।
পেটানোর দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে সেখানকার এক স্কুলছাত্র। পরে ভিডিওটি ফেসবুকে দিলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। বিষয়টি হাটহাজারীর ইউএনও মো. রুহুল আমিনের নজরে এলে মঙ্গলবার রাতেই তিনি পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তবে শিশুটির বাবা-মায়ের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না দিয়ে তাকে তখন ছেড়ে দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।