জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিন আজফার পান্থর সমন্বয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সংবাদ সম্মেলন করেছে বুয়েটের ৬ শিক্ষার্থী।
বুধবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ৬ শিক্ষার্থী। তারা হলেন, তাদের নাম: অর্ঘ্য দাস, সাগর বিশ্বাস জয়, আশিকুল , তানভীর আহমেদ স্বপ্নীল, অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্ত চাঁদ।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এবং ক্যাম্পাসে শিবির ও হিজবুত তাহরীরের তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার কারণে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের কাছে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিন আজফার পান্থ সাংবাদিকদের এই সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়াও, সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার একপর্যায়ে তারা ছাত্রলীগের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদান প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আশিকুল আলম বলেন, গত শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে শিবির ও হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে কথা বলার পর থেকে আমাদের ওপর নানা ধরনের বুলিং ও হুমকি আসছে। আমাদের পরিবারের কাছেও বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য যাচ্ছে। আমাদের বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে যে, আপনাদের সন্তানদেরকে দেখে রাখুন, পরের দিন কিন্তু পাবেন না। এ প্রেক্ষিতে আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি, যাতে এই হুমকিদাতাদেরকে দমন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যারা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে তাদের কোন দফায় শিবির বা হিজবুত তাহরীরের কোন নাম উল্লেখ ছিল না। এরপরে হঠাৎ করে কেন তারা এদের পয়েন্ট নিয়ে কেন কথা বলছে, সেটা এখন ভাববার বিষয়। আমরা যখন এই বিষয়টা সামনে নিয়ে এসেছি তখন তারা এটা নিয়ে কথা বলছে, যাতে তারা আমাদের পয়েন্টগুলো তুলে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতি প্রতিরোধে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিলসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ও ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতি পুনরায় চালুর দাবিতে ছাত্রলীগ এক প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে এবং নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে প্রবেশ করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এরপর সবশেষ, গত সোমবার বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। দেশের শীর্ষ এ প্রকৌশল উচ্চশিক্ষালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামানের বেঞ্চ আদেশ দেন।
ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফর করবেন শেখ হাসিনা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।