জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন মোতাহার হোসেন রানা। ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদদীন হল ও মীরসরাই থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন মোতাহার হোসেন রানা।
গত ১৬ নভেম্বর ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। সেখানে জনতার ভিড়ে একাকী দর্শকের চেয়ারে পাবলিক হয়ে বসেছিলেন একসময়ের তুখোড় নেতা রানা।
মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পুরাতন শার্ট পরে অনেকটা অসহায়ের মতো চেয়ারে বসে ছিলেন মোতাহার হোসেন রানা। তার এ ছবি সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মোতাহার হোসেন রানার ছবি দিয়ে ফেসবুকে বেশকিছু স্ট্যাটাস দেন। তুলে ধরেন তার দুর্দিনের কথা।
এদিকে, দলের এ নিবেদিত কর্মীর পাশে এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কাতার প্রবাসী ও কাতার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ রাজ রাজীব। মোতাহারের পরিবারের জন্য আগামী ১০ বছর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে চান রাজীব। শুধু তাই নয়, ১০ বছর মেয়াদ শেষ হলে তাকে এককালীন কিছু অর্থ প্রদান করবেন বলে কাতার প্রবাসী সাংবাদিক আমিন বেপারীর কাছে জানিয়েছেন রাজীব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল আমিনের মাধ্যমে এ টাকা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ দশকে স্বৈরাচার এরশাদেরবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জ্বালাময়ী ভাষণের কথাও স্মৃতিচারণ করেছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে তিনি ৫ মিনিট বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বক্তব্য শুনে নেত্রী এতো খুশি হয়েছিলেন তার নাম-ঠিকানা মঞ্চে সবার সামনে ডায়েরিতে টুকে নিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।