জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে হল প্রশাসন। এ সময় তার কক্ষ থেকে পিস্তল ও হকিস্টিক জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে পুলিশ বলেছে উদ্ধার করা অস্ত্রটি খেলনা পিস্তল।
আটক আল আমিন খান হলে নিজেকে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে হল ছাত্রলীগে তার কোনো পদ নেই।
মঙ্গলবার রাতে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় হলটির ১০২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। এই কক্ষেই থাকতেন আল আমিন। ওই কক্ষ থেকে একটি পিস্তল ছাড়াও হকি স্টিক ও একটি এসএস পাইপ উদ্ধার করা হয়।
আটকের বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খবর পেয়েছিলাম। পরে সেই কক্ষে অভিযান চালিয়ে আমরা এসব উদ্ধার করি। তবে আটক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব নেই। সে হলের ওই কক্ষে অবৈধভাবে অবস্থান করতো। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে সোপর্দ করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি তাকে থানায় নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে হলে অবস্থান, খেলনার অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই— এই ৪টি অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সূর্যসেন হলের ১০২ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে ১টি পিস্তল, ১টি হকিস্টিক ও ১টি এস এস পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হলের দোকানিদের পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কক্ষে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কক্ষটি থেকে একটি পিস্তল, একটি হকিস্টিক এবং পাইপ উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন রাত ১২টার দিকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কক্ষে অভিযান চালিয়ে আমরা এসব উদ্ধার করি। তবে আল আমিন দাবি করেছে এটি খেলনা পিস্তল। আমরা তাকে থানায় সোপর্দ করার পর থানা পুলিশও অস্ত্রটি পরীক্ষা করে একই কথা বলেছে। বর্তমানে সে থানাতেই আছে।’
শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিম একজনকে নিয়ে এসেছে। তবে তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে উদ্ধার করা পিস্তলটি একটি খেলনা। আমরা তাকে হেফাজতে রেখেছি। আপাতত ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
জানা যায়, আল আমিন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ফিন্যান্স বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে পুনরায় ভর্তি হন। এরপর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষেও তিনি পুনরায় ভর্তির আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।