জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রীদের আশ্লীল ভিডিও দেখাতে বাধ্য করার অভিযোগে সুনামগঞ্জ সদরের মাইজবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে চড়াও হন অভিভাবকরা।
ছাত্রীদের অভিভাবকরা বলেন, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন। এ সময় তার মোবাইলে থাকা অশ্লীল ভিডিও ছাত্রীদের দেখাতে বাধ্য করেন। ছাত্রীরা দেখতে না চাইলে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।
ওই সময় দুই ছাত্রী পালালেও দুই ছাত্রীকে ছাদে আটকে রাখেন তিনি। এ খবর পেয়ে অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঘেরাও করেন। পরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষককে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
অভিযোগকারী এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখাতে বাধ্য করেছেন ওই শিক্ষক। এ নিয়ে কিছু বললে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি দেন। প্রায়ই ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেন গিয়াস উদ্দিন।
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে হাজির হন তিনি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার বলে উল্লেখ করেন।
সদর থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে যান। সেখানে কয়েক’শ লোক বিদ্যালয়টি ঘেরাও করে রাখতে দেখেন। এরপর প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।