আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিক্ষক-শিক্ষিকা আমাদের বাবা-মায়ের মত। কিন্তু সেই শিক্ষক-শিক্ষিকাই যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন তাহলে বিশ্বাস করবেন কাকে?
রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করা এমনই একজন শিক্ষিকা নির্মলা দেবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি তার ছাত্রীদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে দেওয়ার কাজ করতেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর ১১ মাস আগে নির্মলা দেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ভারতের তামিলনাডুর হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাধুরাই কামারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রীদের শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ করে দিতেন নির্মলা দেবী। আর এ কাজ তিনি করতেন পরীক্ষায় ছাত্রীদের ভালো ফল পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে।
নির্মলা দেবীর বিরুদ্ধে এমন আভিযোগ আসার পর তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত দেভাঙ্গা আর্টস কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি অডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেলে তার এ কুকর্মের কথা বেরিয়ে আসে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নির্মলা দেবীর বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের এপ্রিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের ১১ মাস পর মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে তদন্ত কাজে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাছাড়া মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।