জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। খবর বিবিসি বাংলা’র।
আবরার ফাহাদ নামে একজন ছাত্রকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার পর সেখানে যে ব্যাপক ছাত্রবিক্ষোভ চলছে, তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাইফুল ইসলাম শুক্রবার এক সমাবেশে এই ঘোষণা করেন।
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগের পর ইতোমধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা বুয়েটে দলীয় রাজনীতি বন্ধ করাসহ আরও অনেক দাবিতে গত কদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই বিক্ষোভের মুখে ভিসি এই ঘোষণা করলেন।
ভিসির ঘোষণায় যা আছে:
বুয়েটে কোন ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি থাকবে না। উপাচার্য এ বিষয়ে নিজের ক্ষমতাবলে ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ক্যাম্পাসে শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে সব ধরনের র্যাগিং ও নির্যাতন বন্ধ করা হবে। ড. ইসলাম বলেছেন, এধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে একটি ‘কমন প্ল্যাটফর্ম’ গড়ে তোলা হবে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানাতে পারবে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ত্বরিত ব্যবস্থা নেবে।
আবরার ফাহাদের হত্যার দ্রুততম বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে সরকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ১৯ জন ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হওয়ার পর এদের চিরতরে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই হত্যা মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটের আন্দোলনকারীরা ১০ দফা দাবি পেশ করেছিল।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।