স্পোর্টস ডেস্ক: নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শিরোপা জয়ের আগে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন এক পোস্ট দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ফরোয়ার্ড সানজিদা আক্তার।
সানজিদার সেই পোস্টের এক জায়গায় আক্ষেপের সুরে লিখেছিলেন, ‘ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’
ইতিহাস গড়ে শিরোপা জয়ের পর সানজিদার আক্ষেপের চাওয়া আর আক্ষেপ থাকছে না। নারী ফুটবলারদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি আজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ছাদখোলা বাস গতকাল জোগাড় করেছি। আজ এটার কাজ চলছে। সানজিদা যেহেতু আক্ষেপের কথা বলেছে সেই আক্ষেপ পূরণের জন্যই আমরা ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করেছি। ঢাকায় ছিল না তবে আমরা দোতলা বাসের ব্যবস্থা করেছি এবং এটা সাজাচ্ছি। তাদের এয়ারপোর্টে সংবর্ধনা দেওয়ার পর ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে আসব।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত শোনার পর থেকেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছাদখোলা বাসের একটি ছবি দিয়ে নিজেদের আনন্দের কথা জানান দিচ্ছেন কৃষ্ণা রানী সরকার-মারিয়া মান্দারা।
ফাইনালে জোড়া গোল করা কৃষ্ণা লিখেছেন, ‘স্বপ্ন যখন সত্যি হয়।’ আর মারিয়া মান্দা লিখেছেন, ‘আমাদের হুডখোলা বাস।’
বিআরটিসির সূত্র জানায়, নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ছাদখোলা বাসের আক্ষেপ ঘোচানোর পরিকল্পনা নেয়। পরিকল্পনার কথা জানালে কোনো রকম দ্বিধা না করেই সংস্থার মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা শুরু করে বিআরটিসি।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম ছাদখোলা বাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রাতের মধ্যে বাস পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমাদের এই প্রচেষ্টা নারী ফুটবল দল ও ফুটবলপ্রেমীদের জন্য কিছুটা হলেও আনন্দ দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।