সৌরজগৎ এর কাজ শেষ করে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের আরও পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে বিজ্ঞানীদের ক্যামেরাটি সাহায্য করবে। ছোট, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিভিন্ন বস্তুর যে স্পষ্ট ছবি তোলার ক্ষমতা এলএসএসটির আছে, আগের কোনো টেলিস্কোপেরই তা ছিল না। এ থেকে মিল্কিওয়ের সৃষ্টি ও গঠনের ব্যাপারে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এর সাহায্যে পৃথিবী থেকেই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন নক্ষত্রের বিশাল মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।
২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (NSF) প্রকল্পটির জন্য তহবিলের অনুমোদন দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি এ ক্যামেরা নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। এটি পরিচালিত হবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ফর রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোনমির অধীনে। এ ক্যামেরা নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে হবে প্রায় ৭ হাজার ৪৪২ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা!
অনেকে ভাবতে পারেন, মহাবিশ্বের দূরতম ছবি তোলার জন্য তো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপই আছে, তাহলে আবার এই ক্যামেরা কেন? সহজ ভাষায় বললে, এই ক্যামেরার সাহায্যে তোলা ছবিগুলো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের চেয়ে আরও বেশি নিখুঁত হবে। এর ছবি এত শক্তিশালী হবে যে ২৪ কিলোমিটার দূরে থাকা একটি টেনিস বলের ছবি স্পষ্টভাবে তুলতে পারবে এটি। মহাকাশে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে চাঁদের চেয়ে ৭ গুণ বড় অংশের ছবি তুলতে পারবে ক্যামেরাটি।
এভাবে টানা ১০ বছর চলবে এর কাজ। এই সময়ের মধ্যে মহাকাশের একটা নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে যাওয়া যেকোনো পরিবর্তন সবিস্তারে পর্যবেক্ষণ করা হবে এর মাধ্যমে। নতুন গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু হলেও এ ক্যামেরার সাহায্যে বোঝা যাবে।
বিজ্ঞানীদের আশা, ২০২৫ সালের শুরুতে ক্যামেরাটি ছবি তোলার কাজ শুরু করবে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য তা প্রকাশ করা হবে ২০২৭ সালের দিকে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্যমতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সর্বোচ্চ রেজ্যুলুশন সমৃদ্ধ ক্যামেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।