স্পোর্টস ডেস্ক: ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে বল হাতে নেমেই সাফল্য পেলেন সাকিব আল হাসান। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে জয় দিয়ে ওয়ানডে বিসিএল শুরু করল সেন্ট্রাল জোন।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। পূর্বাঞ্চলকে ২২ রানে হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় সেন্ট্রাল জোন। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ৫৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেছেন ৩৫ রান। অবশ্য সাকিব তা পুষিয়ে দিয়েছেন বোলিং দিয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সাকিব, মিঠুন, মিজানুরের কল্যাণে ইস্ট জোনকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় সেন্ট্রাল জোন। তাঁদের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ইস্ট জোনের।
দলীয় এক রানেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারে আবু হায়দারের বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন আশরাফুল। তাঁর বিদায়ের পর ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল ইস্ট জোন।
এমনকি সেন্ট্রাল জোনের দেওয়া লক্ষ্যেও সহজ মনে হচ্ছিল একটা সময়। রনির সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ার পর সাজঘরে ফিরেন ইমরুল (২৫)। দলের অধিনায়কের বিদায়ের পরই আউট হন রনি তালুকদার। আর দলীয় খাতায় ১৪ রান যোগ করতেই আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এরপর ইরফান শুক্কুর ও নাদিফ চৌধুরী মিলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। নিজের ইনিংসকে বড় করার চেষ্টাও করেন শুক্কুর। তবে তা আর হতে দেননি সাকিব। আফিফের পর ম্যাচে সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শুক্কুর (৩১)। তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় ইস্ট জোন।
পরবর্তীতে সাকিবের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মোসাদ্দেকও। ১১৩ রানে ৬ষ্ঠ উইকেটের পতনের পর দলকে জেতানোর চেষ্টা করেন নাদিফ ও আলাউদ্দিন জুটি। নাদিফ দলীয় ১৪৭ রানে আউট হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইস্ট জোন। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানেই থামে ইস্ট জোনের ইনিংস।
সাকিব-মুরাদ ও সৌম্য সরকার দুটি করে উইকেট শিকার করেন। তাদের দায়িত্বশীল বোলিংয়ের কারণেই লো-স্কোরিং ম্যাচে ২২ রানের জয় পায় মধ্যাঞ্চল।
ব্যাট হাতে ৩৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি বলে হাতে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল: ৪৩.২ ওভারে ১৭৭ (মিজানুর ৩৬, সৌম্য ১৩, মজিদ ৮, সাকিব ৩৫, মিঠুন ৩৭, মোসাদ্দেক ১৭, জাকের ১৫, আবু হায়দার ০, মৃত্যুঞ্জয় ০, মুরাদ ১, মুকিদুল ০*; রুবেল ৮.২-০-৫১-৩, তানভির ১০-২-২৯-২, নাঈম ৯-১-৩০-১, আলাউদ্দিন ৫-০-৩৭-১, রেজাউর ৯-১-২১-৩, আশরাফুল ২-০-৬-০)
পূর্বাঞ্চল: ৪৭.১ ওভারে ১৫৫ (রনি ৩৮, আশরাফুল ০, ইমরুল ২৫, ইরফান ৩১, আফিফ ২, নাদিফ ২৮, নাঈম ২, আলাউদ্দিন ১৭, রেজাউর ৩*, তানভির ২, রুবেল ০; আবু হায়দার ৯.১-১-৩৬-১, সাকিব ১০-২-২৪-২, মুরাদ ১০-১-২৮-২, মুকিদুল ২-০-২২-০, মোসাদ্দেক ১০-৪-১৩-১, মিঠুন ২-০-১৩-০, মৃত্যুঞ্জয় ২-০-১০-০, সৌম্য ২-০-৪-২)
ফল: মধ্যাঞ্চল ২২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।