আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাড়িতে করে যাওয়ার সময় তিন কংগ্রেস নেতাকে ‘ছেলেধরা’ ভেবে বেধড়ক পিটুনি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার নাভালসিন গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। ওই তিন কংগ্রেস নেতা হলেন, ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধার্মু সিংহ ও ললিত বারাসকর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রদেশ জুড়ে শিশু চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা সামনে আসছে। যে বেতুলে ওই তিন কংগ্রেস নেতাকে পেটানো হয়েছে, সেখানেও এর আগে দুজন ব্যক্তি শিশু চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি তারা খবর পান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বেতুলে কয়েকজন ছেলেধরা ঢোকার কথা। গ্রামবাসীরা তাদের ধরতে আগে থেকে তাই ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন।
বেতুলের নাভালসিন গ্রামে প্রবেশের মূল রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসী। তার পর আশেপাশে লুকিয়ে পড়েন, যাতে ছেলেধরার দল গ্রামে ঢুকতে গেলেই তাদের সহজে ধরে ফেলতে পারেন, এমনই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ওই রাতে তিন কংগ্রেস নেতা গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন। রাস্তার মধ্যে গাছের গুঁড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে দেখে তাদের মনে হয়েছিল, ডাকাতির উদ্দেশে হয়ত এরকম করা হয়েছে।
পরে তড়িঘড়ি গাড়ি ঘুরিয়ে ওই তিন নেতা চলে যেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময়ই গ্রামবাসীরা তাড়া করে তাদের ধরে ফেলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের তিনজনকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। ভাঙচুর চালানো হয় তাদের গাড়িতেও। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তিন কংগ্রেস নেতা বেতুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাম মিশ্র বলেন, ‘ছেলেধরা ভেবে তাদের মারধর করেছেন গ্রামবাসীরা। গাড়িটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।’
বেতুল থেকে এই নিয়ে শিশু চোর উপলক্ষে গণপিটুনির তিনটি ঘটনা সামনে এল। এ ছাড়াও ইনদওর, ভোপাল, হোসাঙ্গাবাদ, সেহোর, নীমুচ এবং দিওয়াসেও গণপিটুনির ঘটনা সামনে এসেছে। গত শনিবারই দিওয়াসে ঠিক সময়ে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।