জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের পীরগাছায় মাদক ব্যবসায়ী ছেলের কয়েক দফা নির্যাতনের শিকার হয়ে ছয় মাস ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। নির্যাতনের শিকার বাবা জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে অসহায় এ দম্পতি নিজ বাড়িতে যেতে পারছেন না। ছেলে মামুনুর ইসলাম শান্তর বিরুদ্ধে পীরগাছা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং আদালতে বাবার দায়ের করা সিআর মামলায় ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না।
জানা যায়, উপজেলার মকরমপুর গ্রামের কাজী আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে বড়ো ছেলে প্রবাসী। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে মামুনুর ইসলাম শান্তকে নিয়ে চলছিল তাদের সংসার। গত দুই বছর থেকে শান্ত অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া একের পর এক বিয়ে ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন শান্ত। এ নিয়ে বাবা কাজী আব্দুস সাত্তার ও মা রোকেয়া বেগম প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বাবা-মাকে নির্যাতন করে বাড়িতে গড়ে তোলে মাদকের আঁখড়া।
গত ১৬ মে বৃদ্ধ বাবা-মাকে হাত-পা বেঁধে বদ্ধ ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়ে মারার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর পুলিশে খবর দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। কিছুদিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ৪৭টি ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। ওই মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন শান্ত। বাবা-মার উপর শুরু করেন অমানষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই বৃদ্ধ বাবা-মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে কৌশলে পালিয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় আদালতে ছেলে বিরুদ্ধে মামলা করেন আব্দুস সাত্তার। পরে মাদক ও বাবার করা মামলায় শান্তর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে মাদক ব্যবসায়ী ছেলের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
মকরমপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শান্ত সারাদিন এলাকাতেই থাকেন। সে এখনো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।