বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। অভিনেত্রী স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মার্কিন মুলুকই হয়েছে এই গায়কের স্থায়ী ঠিকানা। সেখানে বাবার সঙ্গে থাকছেন টুটুলের দুই সন্তান শ্রেয়াস ও আরশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি কিনেছেন গায়কের বড় ছেলে শ্রেয়াস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুটুল নিজেই।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ছেলে ও বাড়ির ছবি প্রকাশ প্রকাশ করে এই গায়ক লিখেছেন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের শ্রেয়াস একটা বাড়ি কিনেছে। এটি আমাদের জীবনের অসাধারণ আনন্দের একটি দিন।
সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়ে টুটুল লেখেন, আপনাদের সময় ও সুযোগ হলে একবার বেড়াতে আসার আমন্ত্রন রইলো আমাদের এখানে। প্লিজ সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। সবার জন্য দোয়া করি, আল্লাহপাক সবাইকে তুমি ভালো রেখো। আমরা তিন বাপ-বেটা এখন আমেরিকাতেই থাকি
টুটুলের সেই স্ট্যাটাসে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে বাড়ি কেনার টাকা কোথায় পেল? জবাবে এই গায়ক জানিয়েছেন, শ্রেয়াস বর্তমানে আমেরিকাতে একটি গাড়ি কোম্পানিতে ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড ফাইন্যান্স হিসেবে কর্মরত আছেন।
কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, এ কেমন সন্তান! মাকে দেশে ফেলে রেখে, বাবাকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি, বাড়ি কিনে দেওয়া! এটা বুঝলাম না? সেই মন্তব্যের জবাবে টুটুল লিখেছেন, মাকেও দেয়। ওরা মাকে খুব ভালোবাসে। ওদের কাছে মা সবচেয়ে উপরে। আপনি ওদের সম্পর্কে কিছু না জেনেই ভুল বুঝেছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়েই টুটুলের প্রবাসজীবন। সেখানে স্টুডিওতে মাঝেমধ্যে গান করেন। বড় ছেলে একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন আর ছোট ছেলে আরশ কিংস হাইস্কুলে গ্রেড নাইন-এ পড়ছে।
প্রসঙ্গত, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তানিয়া আহমেদ ও এস আই টুটুল। শোবিজ অঙ্গনেও সুখী দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিল তারা দু’জন। তবে হঠাৎ করেই দীর্ঘ ২২ বছর পথচলার পরে ২০২১ সালে বিচ্ছেদের খবর দেন এই জুটি।
কি কারণে ভেঙেছিল তাদের সংসার, বিষয়টি নিয়ে সেসময় স্পষ্ট করে কিছু না বললেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টুটুলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কারণ জানিয়েছিলেন তানিয়া। যেখানে তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দু’জনের মাঝে বোঝাপড়া না হওয়া থেকেই এই বিচ্ছেদ।
উল্লেখ্য, এস আই টুটুল একাধারে গায়ক, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও সুরকার। শৈশব থেকেই টুটুলে গানের প্রতি অনুরাগ। গানকেই তিনি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পিয়ানোর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিলেও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন তিনি। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।