আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘ছোট্ট’ এক ভুল করেছিল বস। সেই ভুলেই কর্মী খড়গহস্ত হয়ে উঠল তার উপর। রীতিমতো কোর্ট কাছারির মামলায় ফাঁসলেন সেই বস। আর মামলায় হেরে একটা বড় অঙ্কের টাকা দিতে হলো তাঁকে। টাকার অঙ্ক শুনলে আজকের দিনে চোখ কপালে উঠতে পারে। আদালতের নির্দেশে ৩৭ লাখ টাকা দিতে হল কর্মীকে।বসকে মোক্ষম শিক্ষা দিয়ে তবেই অফিস ছাড়লো সেই কর্মী। কিন্তু ঠিক কী কারণে এত বড় অঙ্কের জরিমানা? কী এমন কথা বলেছিলেন বস?
বসের অধীনে ওই কর্মী ছিলেন মহিলা কর্মী। তাঁকেই কটুক্তি করেন বস। মহিলা কর্মী নাকি প্রায়ই কাজে ফাঁকি দিতেন। বসের দাবি, কাজে ফাঁকি দিতে মেনোপজের অজুহাত দেন ওই কর্মী। প্রায়ই এই ধরনের কথা বলতেন সেই বস। এমন অমানবিক মন্তব্যের জেরেই সমস্যা জোরালো হয়। মহিলা কর্মী সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করেন বসের বিরুদ্ধে। ওই অফিস ছাড়ার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি আদালত থেকে সেই মামলার রায় দেওয়া হলো। মামলা করে জিতে গিয়েছেন মহিলা কর্মীটি। তার নিরিখেই বসকে দিতে হবে ৩৭ লাখ টাকা।
গোটা ঘটনাটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডে। সেখানের থিসল মেরিন ফার্মে কর্মরতা ছিলেন কারেন ফারকুহারসন। ১৯৯৫ সাল থেকে সেখানে কর্মী তিনি। তাঁর বস জিম ক্লার্ক ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর। তিনিই কারেনের স্বাস্থ্যের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকি অমানবিক মন্তব্যও করেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি-এর সূত্র অনুযায়ী ১৯৭০-এ ওই সংস্থা শুরু করেন জিম। ৭২ বছর বয়সি বসকে ওই মহিলা ডাইনোসর বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে কিছুতেই পাল্টাতে পারেন না ওই বস।
সমস্যার শুরু ২০২১ সালে। তখনই মেনোপজের জন্য ছুটি লাগবে বলে জানায় কারেন। মেনোপজের কারণে দুশ্চিন্তা সহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছিল তখন। সেই মতো দুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা নেয় কারেন। কিন্তু পরদিন অফিস আসতেই কুমন্তব্য করে তাঁর বস। তাঁর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকায়। এর পরই ধৈর্যের বাধ ভেঙে যায়। বসের বিরুদ্ধে আবারদিনের ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই জিত হল কারেনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।