জুমবাংলা ডেস্ক: অবুঝ শিশু তুবা ও তার ১০ বছরের ভাই মাহি আজ ঢাকায় ফিরেছে। ফিরছে তবে মা রেনুকে ছাড়াই। কিছু মানুষরুপী জানোয়ার তাদের মাকে নৃশংসভাবে মেরে না ফেরার দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কখনই আর তাদের মাঝে ফিরে আসবে না।
গত শনিবার সকালে মেয়ে তুবাকে ভর্তি করানোর জন্য ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রেনু। সেখানে ছেলেধরা বলে তাকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের উত্তর সোনাপুর গ্রামে নানা বাড়িতে তাদের মায়ের দাফন হয়েছে। চার বছরের শিশু কন্যা তুবা তেমন কিছু না বুঝলেও বুধবার ঢাকায় রওয়ানা হওয়ার আগে মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদেছে তুবার ভাই মাহি।তুবাও মাকে কাছে না পেয়ে দিনভর কেঁদেই চলেছে।
তুবা বারবার বলেছে, ‘মা নিচে গেছে ড্রেস আনতে’। একথা বলে কান্না করেছে সে। এমন দৃশ্য দেখে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
পেশাগত ও সাংসারিক কারণে বুধবার নিহত রেনুর বোন এবং তার পরিবারের সদস্যদের ফিরে আসতে হয়েছে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায়। তারা তাদের সঙ্গে রেনুর দুই শিশু সন্তান মাহি ও তুবাকে নিয়ে এসেছেন বলে জানান নিহতের বোন নাজমুন নাহার।
নিহত রেনুর বড় বোনের স্বামী বদিউজ্জামান জানান, পারিবারিক কলহের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও এখন রেনুর মৃত্যুর পর তার স্বামী তাসলিম হোসেন দুই সন্তান মাহি ও তুবার খোজ খবর নিতে শুরু করেছেন তাদের বাবা। মাহি ও তুবা কোথায় থাকবে তা তাদের বাবার সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিশু তুবার খালাত ভাই নাসির উদ্দিন টিটু জানান, তাসলিম আল মাহী রায়পুর লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে তার ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করছে। তুবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে। তাদের নানা বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রাম থেকে দু’জনকেই ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।