জুমবাংলা ডেস্ক: ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এখন থেকে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন ছোট ব্যবসায়ীরা। ব্যক্তিপর্যায়ের ছোট উদ্যোক্তারা বাণিজ্যিক উদ্দেশে এই হিসাবে লেনদেনে করতে পারবেন। হিসাবটির নাম হবে ‘পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট’ বা ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’। ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস), ই-ওয়ালেট সেবা প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোতে (পিএসপি) এই হিসাব খোলা যাবে।
ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে যেসব কাগজপত্র দরকার হয়, সেগুলো জমা দিলেই ব্যক্তিগত রিটেইল হিসাব খোলা যাবে। এই হিসাবে খুলতে কোনো খরচ দিতে হবে না। এছাড়া, লেনদেনের ওপর ঋণও মিলবে। হিসাবটি এমএফএসে হলেও টাকা উত্তোলন খরচ কম হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের পরিচালক মো. মেজবাউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ‘পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট’ খোলার সুযোগ রয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন একটি নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি সেবায় এ হিসাব খুলতে পরবেন। শনিবার এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) উদ্যোগে দেশের ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কর্মশালার হয়। সেখানে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সেখানে বিস্তারিত বলা আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ খুলতে কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে সেগুলো জমা দিতে হবে। এটি চলতি হিসাবের মতোই পরিচালিত হবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে এ হিসাব। তবে এ হিসাবের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না। এ হিসাবের এককালীন স্থিতি হবে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক কর্মশালায় ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘যাঁদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই, তাদের জন্য এই হিসাব। আবার তারা ব্যাংক বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে হিসাব খুলতে আসবেন তেমনটা নাও হতে পারে। বরং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে যেতে হবে। তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট ও ক্যাশলেস সোসাইটি সম্পর্কে বোঝাতে হবে। কাজটি কঠিন হলেও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থার জন্য এর বিকল্প নেই।’
কারা হিসাব খুলতে পারবেন
অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যেমন- মুদি দোকানি, ভাসমান খাদ্যপণ্য বিক্রেতা, বাস-সিএনজি-রিকশাচালক, ফুচকা-চটপটি বিক্রেতা, ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রেতা বা বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা এই হিসাব খুলতে পারবেন।
হিসাবটি খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি অনুলিপি ও পেশার প্রমাণপত্র দিলেই হবে। পেশার প্রমাণপত্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া বৈধ কাগজ হলেই হবে। বিনা খরচে এই হিসাব খুলে দেবে দেশের সব ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম, পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা রাশেদ আল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাত্র একবছরে আয় ২৭ লাখ টাকা, বিদেশের বাজার ধরার স্বপ্ন দেখছে বাগেরহাটের ফল চাষিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।