সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার হলো ৪ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির কঙ্কাল। আর এর মাধ্যমে বেরিয়ে এলো চার বছর আগে ঘটে যাওয়া এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
শনিবার সিআইডির অভিযানে গ্রেফতার হয় এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর। তাকে নিয়েই শুরু হয় সিআইডির কঙ্কাল উদ্ধারের অভিযান। অবশেষে পাহাড়ি পথ পেরিয়ে গর্ত খুঁড়ে সন্ধান মেলে নিখোঁজের হাড়গোড়ের।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত নিহত সালাউদ্দিনের প্রতিবেশী আলমগীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে সিআইডি। সিআইডির ধারণা, পরকীয়া প্রেমের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বজনদের মতে, অনেকদিন ধরে নিখোঁজ সালাউদ্দিন। অনেক খুঁজেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিহতের ছোট ভাই আলাউদ্দিনের কোদালের কোপে একে একে বের হয়ে আসছে বড় ভাই সালাউদ্দিনের শরীরের হাড়। আর কলাপাতায় সেই হাড় জড়ো করছেন সিআইডি কর্মকর্তারা। এভাবেই ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে চার বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, গর্ত খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করতে পেরেছি। ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি সালাউদ্দিনের লাশ কিনা।
সীতাকুণ্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদুল বলেন, হাড়গুলো চেক করতে হবে। ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এরপর আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারব।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হন সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার সালাউদ্দিন। এই ঘটনায় তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় প্রতিবেশী আলমগীরকে।
পাহাড়ে এ ধরনের লাশ পাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন বলেন, এই পাহাড়ে অনেক সময় অনেকের লাশই পাওয়া গেছে। আমরা সন্দেহ করছি এটাও তেমন কিছুই।
সিআইডি জানায়, একাধিক মামলার আসামি আলমগীরের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম ছিল সালাউদ্দিনের। এটা জানতে পেরেই আলমগীর কৌশলে সালাউদ্দিনকে পাহাড়ে ডেকে এনে হত্যা করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।