গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী (জেএমবির আমির), মো. হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া ও মো. রাজিবুর রহমান ওরফে রাজিব ওরফে সাগর।
আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাইদ নগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৫০টি ডেটোনেটর, জিহাদী বই, একটি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা অবস্থায় ২০১০ সালে জেএমবিতে যোগদান করে। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা এবং বিশ্বস্ততার কারণে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে সে কক্সবাজারে গিয়ে লেখাপড়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দায়ী (দাওয়াতী) শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করে।’
সিটিটিসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই সময় তালহা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এক ব্যাগ কমান্ডো ছুরি আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদীকে দেয়। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সংগঠনের সিদ্ধান্তে গ্রেপ্তার হওয়া আবু রায়হান জঙ্গি খোকনের চাচাতো শ্যালিকাকে বিয়ে করে। তখন আবু রায়হান ওই ছুরির ব্যাগ কক্সবাজারের নুরুল হাকিম ওরফে আ. হাকিমের কাছে দেয়। ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নুরুল হাকিম ওরফে আ. হাকিম সংগঠনের আরও সদস্যসহ শাজাহানপুর থানা এলাকায় আবু রায়হানের কাছ থেকে প্রাপ্ত ৩০টি কমান্ডো ছুরি এবং বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার হয়।’
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার মো. হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া জেএমবির ইসাবা গ্রুপের প্রধান হিসেবে সংগঠন পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে। সে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ দক্ষিণখান থানার পীর সাহেবের বাড়িতে ডাকাতির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে পুনরায় জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।