ডেটা সাংবাদিকতার বড় একটি সুবিধা হল অডিয়েন্স সব ধরনের ডাটা ভিজুয়ালাইজ করতে পারে। ডাটার মধ্য থেকে অডিয়েন্স তার পছন্দের তথ্য খুঁজে বের করতে পারেন। প্রথাগত সাংবাদিকতা থেকে ডাটা সাংবাদিকতার মধ্যে মূল পার্থক্য হল এই ভিজুয়ালাইজেশন।
নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে জটিল বিষয়কে সহজভাবে অডিয়েন্সের সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হয় ডেটা সাংবাদিকতার মাধ্যমে। কঠিন বিষয়কে এমনভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব যে অডিয়েন্স এর কাছে বিষয়টি পাঠযোগ্য মনে হবে।
এর ফলে ডেটা থেকে মূল বার্তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় অডিয়েন্স। এভাবে নিউজ থেকে কম সময়ে অডিয়েন্স উপসংহারে পৌঁছে যেতে পারে। ডাটা সাংবাদিকতার স্টোরিলাইনে আপনি নতুন ফরমেট দেখতে পারবেন।
এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী চার্ট, গ্রাফ, ম্যাপ এবং থ্রিডি মডেল ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি আপনি অডিও, ভিডিও বা অ্যানিমেশন ব্যবহার করতে পারেন। একটি স্টোরিকে সৃজনশীল উপায়ে উপস্থাপন করার জন্য ডেটা সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সেখানের ভূমিকম্পের প্রকৃত অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, ভূমিকম্পে প্রতিরোধে কী কী করা যেতে পারে, সেগুলো তুলে ধরার জন্য রয়টার্সের একদল সাংবাদিক তাদের প্রতিবেদনে লেখার পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, ড্রোন ফুটেজ, ম্যাপ, থ্রিডি মডেল, ইলাস্ট্রেশন, চার্ট ব্যবহার করেন। এর ফলে ভূমিকম্প নিয়ে একটি বিস্তারিত চিত্র পাঠকের সামনে ফুটে ওঠে।
অপরাধ থেকে শুরু করে অর্থনীতি, রাজনীতি, বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ের প্যাটার্ন এবং ট্রেন্ড অনুসন্ধান করতেও ডেটা সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। জটিল বিষয়ের ভেতরে নানা ধরনের প্যাটার্ন থাকতে পারে, যা ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বের করা গেলেও ট্রেডিশনাল সাংবাদিকতার মাধ্যমে বের করা সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।