বিনোদন ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ। গত ১৫ দিনে দুইবার কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে তাঁর। প্রথমবার নেগেটিভ ফল এলেও দ্বিতীয়বার পজিটিভ ফল আসে অভিনেত্রীর। টাঙ্গাইল থেকে সর্দি-কাশি নিয়ে ফেরার পর পরিবারের সবার কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তাতে শাবনাজের কোভিড নেগেটিভ ছিল বলে জানান অভিনেত্রীর স্বামী নাঈম।
দু-এক দিন ধরে ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে গেলে ফের পরীক্ষা করা হয়, এতে শাবনাজের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
কয়েক মাস আগেই নাঈমের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়, এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। শাবনাজের যথাযথ পরিচর্যা নিতে পারবেন না এই ভেবে তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
নাঈম বলেন, ‘আমি ও শাবনাজ দুজনই এভারকেয়ারে চিকিৎসা নিই। গতকাল সকালেও হাসপাতালে কোনো সিট পাইনি। অবশেষে সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করাতে পেরেছি। তবে শাবনাজের শারীরিক অবস্থা ভালো। অক্সিজেন লেভেলও স্বাভাবিক। চিকিৎসক আবিদুর রহমান ও আয়াজের তত্ত্বাবধানে চলছে তার চিকিৎসা। আশা করছি, শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসবে শাবনাজ। ’
নব্বই দশকের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি নাঈম ও শাবনাজ। খুব বেশি দিন অভিনয় না করলেও দর্শকদের হৃদয়ে ভালোবাসাময় একটি জায়গা দখল করেছেন এই তারকাজুটি। একসঙ্গে কাজের সুবাদে নায়ক নাঈম ও নায়িকা শাবনাজের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ককে তারা পূর্নতা দেন। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর বিয়ে করেন দু’জন। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে এ দম্পতির ২৭ বছর।
নাঈম ও শাবনাজ জুটির অভিষেক হয় ১৯৯১ সালের ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে। যেটি পরিচালনা করেছিলেন এহতেশাম। সুদর্শন চেহারা ও অভিনয়ের গুণে তারা অল্প সময়েই তারকা খ্যাতি পান। এরপর শফিউল আলম পরিচালিত ‘বিষের বাঁশি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমে জড়ান তারা। ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়েই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পর সিনেমা থেকে দূরে সরে যান নাঈম ও শাবনাজ। সংসার জীবনেই মনোযোগী হন এ জুটি। তাদের নামিরা ও মাহাদিয়া নামের দুটি সন্তান রয়েছে। যারা কানাডায় পড়াশোনা করেন। অন্যদিকে নাঈম-শাবনাজ বসবাস করছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে গ্রামের বাড়িতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।