জুমবাংলা ডেস্ক: নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া সফরের কথা রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে নিঃছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। দলীয় নেতাকর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
শনিবার কোটালীপাড়ার টিটি (তালিমপুর তেলিহাটি) হাই স্কুল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। পরে বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া এলাকায় এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হচ্ছে ব্যানার ও ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্রকরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার অপেক্ষা লাখো জনতার।
কোটালীপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলার আশপাশের জেলা থেকেও হাজার হাজার নেতা-কর্মী এ জনসভায় যোগ দেবার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুর্ষ মধু বলেন, আমরা ভোটদিয়ে যাকে সংসদ সদস্য করি, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। এজন্য আমরা গর্বিত।
সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভীম চরন বাকচী বলেন, আমার ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ অধির আগ্রহে আছেন আগামী ২৫ তারিখের জন্য। সবার মুখেই একটি কথা কখন তাদের জননী শেখ হাসিনাকে তারা কাছ থেকে দেখতে পাবেন।
কলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কোটালীপাড়ার মানুষের মধ্যে একটা আনন্দ উৎসব চলছে। দীর্ঘদিন পর শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখতে পারার আনন্দে আত্মহারা এখানকার মানুষ।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, নেত্রী কোটালীপাড়ায় আগমনকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়াবাসী আনন্দে উদ্বেলিত। এখানকার ভোটাররা যাকে ভোট দেন, সেই তাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে তারা দেখবেন। তাঁর কথা শুনবেন এটা তাদের কাছে চরম পাওয়া।
ব্যবসায়ী হান্নান শেখ বলেন, আমাদের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ব্যাপক উন্নতি করেছেন। তিনি দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে নানা কাজ করে চলেছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোটালীপাড়া টিটি (তালিমপুর তেলিহাটি) হাইস্কুল মাঠে ভাষন দেবেন, এটি এখানকার প্রতিটি ঘরের মানুষ এমনিতেই জেনে গেছে। কাউকে ডাকার প্রয়োজন নেই। ২৫ তারিখের জনসভা জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন বলেন, কোটালীপাড়ার জনসভা স্মরণকালের সেরা জনসভা হবে। জনসভাস্থলের আরো কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে জনতার ঢল। জনসভা জনসমুদ্রে পরিনত হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারন সম্পাদক জিএম শাহাব উদ্দিন আজম বলেন, জনভাস্থল ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে সব ধরনের পস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার ৪৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন বলে তারা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্যা খন্দকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নানা প্রস্তুতিমূলক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, যেদিন থেকে কোটালীপাড়াবাসী জেনেছে যে তাদের ভালবাসার নেত্রী কোটালীপাড়া আসবেন সেদিন থেকে তারা দিনক্ষণ গুনতে শুরু করেছেন, কখন ২৫ তারিখ আসবে। কখন তারা তাদের প্রিয় নেত্রীকে দেখতে পাবেন্, কথা শুনতে পাবেন।
কোটালীপাড়া জনসভার প্রধান সমন্বয়ক বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, কোটালীপাড়ার জনসভার মাঠ উপচে অন্ততঃ ৫ কিলোমিটার এলাকা ওই দিন জনসমুদ্রে পরিনত হবে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বের জনসভায় যে মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে, তা থেকে আমরা দেখি নেত্রীর প্রতি মানুষের কত ভালবাসা। এখানকার শতভাগ মানুষ যে নেত্রীকে ভালবাসে তা প্রমান করবে আগামী ২৫ তারিখের জনসভায়।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।