আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সহজ-সরল জীবনযাপনের জন্য পৃথিবীব্যপী খ্যাতি রতন টাটার। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একজন শিল্পপতি হয়েও যার জীবনে বিলাসিতার কোনো ছাপ নেই। গত ২৮ ডিসেম্বর ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছেন তিনি। সাদামাটাভাবে তাঁর জন্মদিন উদযাপনের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রতন টাটা একটি চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনে একদম ছোট একটি কেক রাখা। তার উপর একটি মমবাতি ওই কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। তখন পাশে থাকা এক তরুণ টাটাকে কেক খাইয়ে দেন।
সাদামাটা জীবনের জন্য সবাই টাটার প্রশংসা করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই শিল্পপতিকে। তবে সবার মনে ভিডিওর ওই তরুণকে নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। ওই তরুণের নাম শান্তনু নাইডু। অবাক করার হলেও তিনি রতন টাটার পরিবারের কেউ নন। তিনি রতন টাটার ব্যক্তিগত সহকারী।
A charming scene with the unassuming #RatanTata on his 84th birthday pic.twitter.com/wkmm7jhCyZ
— Harsh Goenka (@hvgoenka) December 29, 2021
কুকুরের প্রতি রতন টাটার ভালোবাসার কথা সর্বজনবিদিত। প্রায়ই তিনি তার কুকুর নিয়ে কথা বলেন। মুম্বাইয়ে টাটা গোষ্ঠীর যে সদর দফতর রয়েছে, সেখানে নেড়ি কুকুরের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। রতন টাটার সঙ্গে মুম্বাইয়ের তরুণ শান্তনু নাইডুর সম্পর্কের শুরুও এই কুকুরকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া একটি ঘটনার পর।
স্নাতকোত্তর শেষে ২০১৪ সালে টাটা গ্রুপে যোগ দেন তরুণ শান্তনু। হঠাৎ একদিন পথে একটি কুকুর মরে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এতে খুব ব্যথিত হন তিনি। দুর্ঘটনার হাত থেকে কুকুরদের বাঁচাতে বিশেষ ধরনের কলার তৈরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন শান্তনু। একটি চকচকে কলারও তৈরি করেন। এতে দূর থেকে দেখেই কুকুর শনাক্ত করতে পারবেন চালকেরা। কুকুরদের বাঁচাতে শান্তনুর এমন উদ্যোগের গল্প নিয়ে লেখা প্রকাশ হয়েছিল টাটা গ্রুপের একটি নিউজলেটারে।
শান্তনু নাইডুর কুকুরের প্রতি প্রেম ও দুর্ঘটনা থেকে কুকুরদের বাঁচাতে নেওয়া উদ্যোগ দেখে মুগ্ধ হন টাটা। ওই ঘটনার কয়েক দিন পর রতন টাটা সরাসরি শান্তনুকে ফোন করেন। তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহের কথা জানান।
এ প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেন, আমার কাজ দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। এরপর যেখানে তার কুকুরগুলো রয়েছে, সেখানে আমাকে নিয়ে যান তিনি। আমাদের বন্ধুত্বের শুরুটা হয়েছিল।’
শান্তনু নাইডু আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। এমবিএ করে ভারত ফেরেন। এরপরই টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের অফিসে উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।