স্কটল্যান্ড এ জন্ম নেওয়া জন গ্রিয়ারসন (Jon Grierson) এ বিশ্বের সেরা ডকুমেন্টারিয়ানদের একজন। ওয়াল্টার লিপম্যান(Walter Lippmann) দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। রবার্ট ফ্লের্হাটির ডকুমেন্টারির দর্শনকে তিনি পছন্দ করতেন।
গ্রিয়ারসন যখন বিবিসিতে কর্মরত ছিলেন তখন তার ডকুমেন্টারি রাষ্ট্রের স্ট্যাটাস-কো বজায় রাখতে সহায়তা করেছিল। জনমত যেনো রাষ্ট্রের পক্ষে থাকে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করেছিলেন। জন গ্রিয়ারসন বিশ্বাস করতেন যে, সোশ্যাল এডুকেশন ও পাবলিক এডুকেশন এর টুল হিসেবে ডকুমেন্টারিকে ব্যবহার করতে হবে।
ডকুমেন্টারি এর মাধ্যমে মানুষ মানুষ যেন সুশিক্ষা পেতে পারে সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তিনি আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। গ্রিয়ারসন জীবনের নানা সমস্যা তুলে ধরার ক্ষেত্রে ফিল্ম নির্মাণকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
গণতান্ত্রিক বিশ্বের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটির নানা সামাজিক দ্বন্দ্ব ফটে উঠেছে তার ডকুমেন্টারিতে। ফিল্মের শক্তির জায়গা হচ্ছে তা দর্শকদের মধ্যে ভিন্ন একটি বাস্তবতা তুলে ধরে। গ্রেট ডিপ্রেশনের সময়ে ব্রিটেনের মানুষ যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় ছিলো তখন সাধারণ জনগণের জীবনকে কীভাবে আরো উন্নত করা যায় সে বিষয়ে নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের কথা বলেছেন তিনি। তার বোন রুবি সহ কয়েকজন প্রতিভাবান তরণদের নিয়ে সরকার এবং বড় বড় কর্পোরেশনের পক্ষে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন। শিল্পোন্নত সমাজের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও আধুনিক সমাজের প্রকৃতি তার ফিল্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে।
সামাজিক সংহতি বজায় রাখতে ডকুমেন্টারি কাজ করতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। এন্টারটেইনমেন্ট ফিল্ম থেকে ডকুমেন্টারিকে পৃথক করার পক্ষে ছিলেন জন গ্রিয়ারসন। কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।