নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের নাগা এলাকায় জমিতে গরুর প্রবেশ নিয়ে দ্বন্দ্বে ওমেদ আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে তারই শ্যালক ও শ্যালকের সন্তান মিলে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরই কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পতিত জমিতে বৃদ্ধ ওমেদ আলীকে মাটিতে ফেলে শ্যালক সাদিক পিটাচ্ছে এবং তার ছেলে সাদ্দাম ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। কয়েকজন নারী চিৎকার করছেন কিন্তু বাঁধা দিতেও সাহস পাচ্ছেন না৷
এ হামলার ঘটনায় ওমেদ আলীর মেয়ে ওহেদা খাতুন বাদি হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় ৩ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ওমেদ আলীর শ্যালক সাহিদ, তার স্ত্রী রেবেকা ও তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
ওহিদা খাতুন বলেন, আমার বাবা বৃদ্ধ মানুষ। মসজিদের পাশে একটি পতিত জমিতে সবজি লাগিয়ে দেখাশোনা করেন৷ কিন্তু রেবেকা নামে আমাদের আত্মীয় তার গরু ওই সবজির জমিতে দিয়ে যায়। গরু দিতে মানা করায় তিনি ঝগড়া শুরু করেন৷ পরে আব্বা বাধা দিলে সাহিদ এসে বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। পরে তার ছেলে সাদ্দাম এসে বাবাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে আমরা গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, কোপানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সাহিদ নিজেই তার হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন পুলিশ পাহারায় রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে মামলার আসামি সাহিদ বলেন- আমাকেও সে পিটিয়েছ, আমার বউকেও মেরেছে। পরে আমার ছেলে রেগে গিয়ে তার উপর আক্রমণ করেছে। আমার দুলাভাই লোক ভালো না, নেশা পানি খায়। বোনের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো না। আমি হাসপাতালে আছি, আমিও মামলা করবো।
গাজীপুর সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই ঘটনার পর একটি মামলা হয়েছে। মামলার একজন আসামি হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় রয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।