জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কিরণ বালা বর্মনী নামে এক বৃদ্ধা নারীকে জমির জন্য মা;রধর করার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট ছেলে হেমন্ত বর্মণের বিরুদ্ধে। ওই মা’রধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবং মামলার সাক্ষী হওয়ায় বৃদ্ধা নারীর মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমারের বিরুদ্ধে ধ’র্ষণচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার ছেলের স্ত্রী।
আজ শুক্রবার সকালে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কিরণ বালা বর্মনী। পুরো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ওই উপজেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামের অমূল্য কুমার বর্মনের বিধবা স্ত্রী কিরণ বালা বর্মনী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট আমার ছোট ছেলে হেমন্ত বর্মন জমি দখলের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ছেলে ও তার লোকজন আমাকে মা’রধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান। মা’রধরের ঘটনায় আমার ছেলেকে সহযোগিতা করেন গেন্দুকুড়ি মহিলা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক শিবির নেতা হুমায়ুন কবির রোকন। এ ঘটনায় আমি গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বাদী হয়ে লালমনিরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।’
তিনি বলেন, ‘মামলায় অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির রোকন ও ছেলে হেমন্ত বর্মনসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। মামলায় বৃদ্ধা কিরণ বালার মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমার সাক্ষী হয়েছেন। মামলা দায়েরের একদিন পর গত বুধবার (৭ আগস্ট) মধ্যরাতে আমার ছেলে হেমন্ত বর্মনের স্ত্রী শৌব্বা রানী ধ’র্ষণচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ করেন।’
কিরণ বালার বড় ছেলে অনন্ত কুমার বলেন, ‘গেন্দুকুড়ি মহিলা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক ছাত্র শিবির নেতা হুমায়ুন কবির রোকন ওই এলাকায় আমাদের ওপর অ’ত্যাচার চালাচ্ছে। আমাদের বসত বাড়ি ও জমি দখলের চেষ্টা করছেন হুমায়ুন কবির রোকন ও তার লোকজন।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির রোকনের দাবি, কিরণ বালা ও অনন্ত কুমারের অভিযোগগুলো মিথ্যা-ভিত্তিহীন। ছাত্র জীবনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও এখন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে দাবি করেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাজির হোসেন জানান, শৌব্বা রানী নামে এক গৃহবধূকে ধ’র্ষণচেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত করে মিথ্যা মনে হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এ ধ’র্ষণচেষ্টার নাটক করা হয়েছে। সূত্র : আমাদের সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।