জমি আমাদের মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু অনেকেই নিজের নামে জমি থাকলেও তা সঠিকভাবে জানেন না। বিশেষ করে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে বা দালালের ফাঁদে পড়লে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই জমির মালিকানা ও খতিয়ান সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা অত্যন্ত জরুরি।

খতিয়ান ও পর্চা কী?
খতিয়ান বা পর্চা হলো জমির সরকারি দলিল যা জমির মালিকানা, দখলদারের নাম, পরিমাণ, সীমানা এবং খাজনা সম্পর্কিত তথ্য জানায়। সাধারণত যাঁর নামে খতিয়ান থাকে, তাঁর নামেই পর্চা হয়।
খতিয়ান ও পর্চায় অন্তর্ভুক্ত থাকে:
দাগ নম্বর, মৌজা নম্বর, খতিয়ান নম্বর, বাট্রা নম্বর, এরিয়া নম্বর
জমির দখলদারের নাম, ঠিকানা ও পিতার নাম
জমির পরিমাণ ও সীমানা
মালিকের নাম, ঠিকানা ও পিতার নাম
খাজনা পরিমাণ ও বৃদ্ধির কারণ
জমির ধরন, যেমন নিজস্ব বা ইজারা কৃত জমি
খতিয়ানের প্রকারভেদ:
সিএস খতিয়ান: ১৯৪০ সালের ব্রিটিশ যুগের জরিপ
এসএ খতিয়ান: ১৯৫৬-৬০ সালের আইন অনুযায়ী
আরএস খতিয়ান: ১৪৪ ধারার অধীনে
বিএস খতিয়ান: ১৯৯৮-৯৯ থেকে চলমান, সর্বাধিক ব্যবহৃত
অনলাইনে মালিকানা যাচাইয়ের ধাপ:
১. ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে
যান।
২. ‘খতিয়ান তথ্য অনুসন্ধান’ অপশনে প্রবেশ করুন।
৩. নির্ধারিত ফরম পূরণ করে খতিয়ান তথ্য সংগ্রহ করুন।
এছাড়া, নিকটস্থ ভূমি অফিসে গিয়ে খতিয়ানের ভলিউম দেখে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব।
মালিকানা যাচাইয়ের গুরুত্ব:
জমি ক্রয়ের সময় সঠিক মালিকানা জানা জরুরি, নকল মালিক সেজে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মৃত ব্যক্তির জমি কিনলে ওয়ারিশদের দাবির ঝামেলা এড়ানো যায়।
সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে লেনদেন করলে ভবিষ্যতে ঝামেলা ও আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সঠিক মালিকানা যাচাই করে জমি ক্রয়-বিক্রয় করলে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



