জুমবাংলা ডেস্ক : মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, স্বাধীনতার পর যখন বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনার কাজ শুরু করেন, তখন মুক্তিযুদ্ধে জয়ী নারীদের সমাজ গ্রহণ না করলেও রাষ্ট্র তাদের গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু তাদের বীরাঙ্গনা নাম দেন। ঠিক একই রকম আজকের সমাজে মেয়েরা যখন সংগ্রাম করে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জয়িতা বলে সম্মান দিলেন। জয়িতা আজ সমাজে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা সমাজের নারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে সম্মাননা তুরে দেওয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা। খুলনা বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বাগেরহাট জেলার সুমা মণ্ডল, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ঝিনাইদহ জেলার মোছা. জেসমিন নাহার কামনা, সফল জননী নারী কুষ্টিয়া জেলার চন্দনা রানী কুন্ডু। এ ছাড়া নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা নারী সাতক্ষীরা জেলার রেহেনা পারভীন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনা জেলার পাখি দত্ত হিজড়া।
প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেছেন। নারীর জন্য যেন সমানাধিকারের জায়গাটা প্রশস্ত হয় আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান।
আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক জাকিয়া আফরোজ, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, খুলনা বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।