বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি উদ্ভাবন বাড়ানোর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর কাজও সহজ করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিল গেটস
তবে, এক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তিকে অবশ্যই ‘ভালো মানসিকতাওয়ালা মানুষ দিয়ে ব্যবহার করানো উচিৎ’ বলে সতর্ক করেছেন মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা।
সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত ‘ব্রেকথ্রু এনার্জি সামিট’-এ স্কাই নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় এমন মন্তব্য করেন গেটস।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘কিছুটা বিনয়ী ভূমিকা পালন করেছে’ এআই। তবে, এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভাবন ‘আগের চেয়ে সহজ’ হয়ে উঠবে।
“এআইয়ের সহায়তায় আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়াদি মডেলিং করতে পারি, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান ও প্রভাবক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝা ও কীভাবে প্রোটিন তৈরি করা যায়, সে বিষয়টিও,” বলেন তিনি।
“সকল ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে এআই। সেটা ওষুধ খাত বা পড়াশোনায় সহায়তা করা, যাই হোক না কেন।”
“জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফিউশন শক্তি মডেলিংয়ের মতো কাজগুলো জটিল হয়ে উঠেছে। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, এআই এ কাজ আরও সহজ করে তুলবে।”
কোনো দেশের সরকার উৎখাত করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করার ঝুঁকি নিয়ে গেটস চিন্তিত কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তার কানে তেমন কিছুই আসেনি’।
“এআই এতই গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ভাল মানসিকতাওয়ালা লোকজনই ব্যবহার করছেন।”
“যে কোনো সময় নতুন একটি প্রযুক্তি এলে সেটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষক, ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের ব্যবহার করতে দেখা যায়, যাতে তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।”
তবে সাইবার আক্রমণ বা রাজনৈতিক কাজে জড়িত ব্যক্তিরাও ‘এআই ব্যবহার করতে পারেন’ এমন সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।
‘মানুষকে বোকা বানানোর শাস্তি’
এআই ‘বিশাল কিছুই’ নয় উল্লেখ করে গেটস বলেন, “এআই নিয়ে এমন অনেক ভুল তথ্য রয়েছে, যার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”
তিনি আরও বলেন, এআইকে যে বিভিন্ন ভুয়া ভিডিও তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, সেটিও ‘মাথায় রাখতে হবে’। এমনকি সেইসব ভিডিও’কে ‘ভুয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“আমরা জানি, যখন কোনো কাগজের টুকরায় কিছু ছাপা হয়, তখন যে কেউই সেটা টাইপ করতে পারে। এরপরও আমরা এইসব ভিডিওকে আসল হিসেবেই ধরে নেই। কারণ এর আগে ভিডিও নকল করার বিষয়টি বেশ জটিল ছিল।”
একইসঙ্গে গেটস জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘এটা কোথা থেকে এসেছে?’ তারা যেন নিজেদের এ প্রশ্ন করেন।
“এক্ষেত্রে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য শাস্তিমূলক আইন আসবে।”
তবে ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে গেটস বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নেওয়া, শিক্ষার অগ্রগতি ও এই জলবায়ুর সমস্যা নিয়ে কাজ করা ও উদ্ভাবনকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।