নগরায়ণের কারণে বনাঞ্চলের সংকোচন, চোরা শিকারিদের হামলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খরার কারণে গুরুতর সংকটে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী জিরাফ। এসব কারণে এক দশক ধরেই জিরাফের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন জিরাফ প্রজাতিকে বিপন্ন বা হুমকির মুখে থাকা প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছে ইউএস ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস।
ইউএস ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের পরিচালক মার্থা উইলিয়ামস বলেন, জিরাফের জন্য আইনগত সুরক্ষা দুর্বল প্রজাতিকে রক্ষা করতে কাজ করবে। এই আইন জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে আর বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বন্য প্রাণী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও টেকসই অর্থনৈতিক অনুশীলনকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপের কারণে জিরাফকে আরও কার্যকরভাবে সংরক্ষণ করা যাবে।
গবেষকেরা নর্দার্ন জিরাফের তিনটি উপপ্রজাতিকে বিপন্ন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকান, কর্ডোফান ও নুবিয়ান উপপ্রজাতি। নুবিয়ান জিরাফের জনসংখ্যার ১৯৮৫ সালের তুলনায় প্রায় ৭৭ শতাংশ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬৫৩ থেকে কমে এসে এখন মাত্র ৫ হাজার ৯১৯। এ ছাড়া পূর্ব আফ্রিকায় দুটি উপপ্রজাতি জালিকা ও মাসাই জিরাফকে হুমকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের জিরাফের চাহিদা অনেক। গত এক দশকে ৪০ হাজার জিরাফ আমদানি করা হয়েছে। সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটির পরিচালক তানিয়া সানেরিব বলেন, জিরাফ নীরবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে সুরক্ষা দিলে জিরাফকে চামড়া ও শরীরের অন্যান্য অংশের জন্য হত্যা করতে বাঁধা তৈরি করবে।
জিরাফের লেজ, মাথার খুলি থেকে শুরু করে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হাড়, হাড়ে খোদাই করা নকশার জন্য শিকারিরা জিরাফ হত্যা করছে অনেক। আফ্রিকা অঞ্চলে জিরাফ যেখানে বাস করে সেই সব এলাকায় ঘন ঘন খরা বিপর্যয়ের কারণে জিরাফের সংখ্যা কমছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।