আমাজন রেইন ফরেস্ট, পৃথিবীর বৃহত্তম বনভূমি যা ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের ২০% অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির আবাসস্থল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, জলবায়ু পরিবর্তন এই অমূল্য সম্পদের জন্য একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করছে।
উষ্ণতা বৃদ্ধি:
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাজনের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শতাব্দীতে, গড় তাপমাত্রা প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
- বৃষ্টিপাতের ধরণেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তীব্র খরা ও বন্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পরিবর্তনের প্রভাব:
- বন উজাড়: তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং খরার ফলে বন উজাড়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুষ্ক পরিবেশে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ২০১৯ সালে, আমাজনে রেকর্ড পরিমাণ আগুন লেগেছিল, যা বনভূমির বিরাট অংশ ধ্বংস করেছিল।
- জীববৈচিত্র্য হ্রাস: বন উজাড় এবং আবাসস্থল হ্রাসের ফলে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
- কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি: বন উজাড় বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণকে আরও তীব্র করে তোলে।
- স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব: বনভূমি ধ্বংসের ফলে আদিবাসী এবং অন্যান্য স্থানীয় সম্প্রদায় তাদের জীবিকা ও সংস্কৃতি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
সমাধান
- গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে এবং নবায়নযোগ্য উৎসে বিনিয়োগ করে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা জরুরি।
- বন সংরক্ষণ: বন উজাড় রোধ করতে এবং বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধি করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
- টেকসই বন ব্যবস্থাপনা: বনজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমাজন রেইনফরেস্টের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা জরুরি।
আমাজন রেইনফরেস্ট পৃথিবীর জন্য অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে এটি রক্ষা করার জন্য আমাদের সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাজন রেইনফরেস্ট পৃথিবীর জন্য অপরিহার্য একটি সম্পদ, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।