জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে কুমিল্লার দেবীদ্বারে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ২ হাজার ৬৮১ হেক্টর জমির আবাদি ফসলের মধ্যে ১ হাজার ৩৯৮ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। আজ সকালে বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রৌফ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ফসলী জমির পানি নিষ্কাসন করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন। আলুর মাঠ এখন পানির নিচে, পানি সরে গেলেও এ আলু আর উৎপাদনে যাবেনা। অসময়ে টানা বৃষ্টির ফলে তাদের ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রৌফ বাসসকে জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে দেবীদ্বারে ২ হাজার ৬৮১ হেক্টর রবি, শাক সবজি ও বীজ তলায় আবাদি ফসলের ১৩৯৮ হেক্টর কৃষিজমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বোর বীজতলা- ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে আক্রান্ত- ২২৮ হেক্টর, গোল আলু আবাদ ১ হাজার ২৫ হেক্টর’র মধ্যে আক্রান্ত ৬৩০ হেক্টর, ধনিয়া পাতা ৮৫ হেক্টর’র মধ্যে আক্রান্ত ৪০ হেক্টর, পেঁয়াজ ২০ হেক্টর’র মধ্যে আক্রান্ত ২০ হেক্টর, রসুন ১০ হেক্টর’র মধ্যে আক্রান্ত ১০ হেক্টর, ভুট্টা ১৭ হেক্টরের মধ্যে আক্রান্ত- ১০ হেক্টর, গম ১৪ হেক্টরের মধ্যে আক্রান্ত ১০ হেক্টর এবং শাক সবজি ৯৬৪ হেক্টরের মধ্যে আক্রান্ত ৩৬৫ হেক্টর। এগুলোর মধ্যে আবাদি ফসল ছিল মিষ্টি আলু ১৫ হেক্টর, ফুল কপি ১৫০ হেক্টর, বাঁধা কপি ১৮৫ হেক্টর, বেগুন ৮০ হেক্টর, টমেটো ৯৫ হেক্টর, মুলা ৬৬ হেক্টর, লাল শাক ৮২ হেক্টর, ডাটা ৬২ হেক্টর, পালং শাক ২৬ হেক্টর, শসা ৫০ হেক্টর, মিষ্টি কোমড়া ৯৮ হেক্টর, করলা ৪০ হেক্টর, ঢেরস ৫০ হেক্টর।
তিনি আরো জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও ঝড় বাতাস না থাকার কারণে ধানী ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি, যে ধানগুলো কাটার পর কৃষকরা জমিতে রেখেছিলেন সেগুলো নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এবার পেঁয়াজ, রসুন শতভাগ আক্রান্ত হয়েছে। আমরা আবাদি ফসলের লক্ষ্যমাত্রা এবং আক্রান্ত ফসলে তালিকা ও পরিমান মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।