আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে কথা বলতে চেয়েছে তালেবান। তবে তারা সেই সুযোগ পাবে কি না সন্দেহ আছে। খবর ডয়চে ভেলের।
জাতিসংঘের মুখপাত্র মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তালেবান সাধারণ পরিষদের বৈঠকে কথা বলতে চেয়েছে। আমেরিকা জানিয়েছে, তালেবান যে এই অনুরোধ করেছে তা তারা জানে। তবে জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। আর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটির কিছুটা সময় লাগবে।
আমেরিকার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তালেবান চাইলেও এই বৈঠকে তাদের কথা বলার সম্ভাবনা কম। কমিটিতে আমেরিকা, রাশিয়া, চীনসহ নয়টি দেশ আছে। আগামী সোমবার সাধারণ পরিষদের বৈঠক শেষ হচ্ছে। তার আগে কমিটির বসার সম্ভাবনা কম।
তালেবান ইতোমধ্যেই তাদের দোহা ভিত্তিক মুখপাত্র সুহেইল শাহিনকে জতিসংঘের দূত হিসাবে মনোনীত করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের নিয়ম হলো, কমিটি যতদিন সিদ্ধান্ত না নিচ্ছে, ততদিন পুরনো দূতই বহাল থাকবেন। তাই আশরাফ গনির আমলে নিযুক্ত আফগানিস্তানের দূতই আগামী সোমবার বলবেন। যদিও তালেবান জানিয়ে দিয়েছে, আশরাফ গনির আমলে নিযুক্ত দূত আর আফগানিস্তানের প্রতিনিধি নন।
তালেবান কাবুল দখল করার পরেই আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি এখন আমিরাতে আছেন।
কাতারের আবেদন
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলি যেন তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে। তার মতে, ”বয়কট করে কোনো লাভ হবে না। তাতে মেরুকরণ হবে। তার প্রতিক্রিয়া হবে। কিন্তু কোনো ইতিবাচক ফল হবে না।”