জুমবাংলা ডেস্ক : কিছুদিন আগে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মেয়েকে তালাক দেয়ার পর শ্বাশুড়ি মেয়ের জামাতাকে বিয়ে করায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এবার জানা গেল সেই বিয়ের পেছনের আসল কাহিনী। সেই শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম দাবি করছেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কিছু সামাজিক গণ্যমান্য লোক জোর করে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন।
এ নিয়ে ১১ জনকে আসামি করে তিনি গতকাল রোববার সকালে আদালতে মামলা করেছেন। জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন হাদিরাতে একটি গ্রাম্য সালিশে ঘটনাটি ঘটে।
এখানের মেয়ে নুরন্নাহারের সাথে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মোনছেরের বিয়ে হয় গত আগস্ট মাসে। বিয়ের কিছুদিন পর মোনছেরের শ্বাশুড়ি মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর যখন মোনছের স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে আসে তখন নুরুন্নাহার আর এই সংসার করবেন না বলে অভিভাবকদের জানান। এই নিয়ে সেদিনই সালিশ বসে। সালিশে স্থানীয় ইউপি চেয়ায়ম্যান, ইউপি সদস্যসহ আরো সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ।
সালিশের একপর্যায়ে মাজেদা বেগম উত্তেজিত হয়ে নিজ মেয়েকে বলে বসেন, তুই সংসার না করলে আমি সংসার করব তোর জামাইয়ের সাথে।
রাগের মাথায় বলা এই কথাকে ধরে উপস্থিত সালিশের লোকজন অভিযোগ করেন, মেয়ে জামাইয়ের সাথে মাজেদার অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এরপর তারা নুরুন্নাহারকে বাধ্য করেন জামাইকে তালাক দিতে এবং জামাই মোনছেরকে বাধ্য করেন শ্বাশুড়ি মাজেদাকে নিয়ে করতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।