স্পোর্টস ডেস্ক: থাইল্যান্ডের দ্বীপ কোহ সামুইয়ে অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। সেখানে লাক্সারি রিসোর্ট সামুজানা ভিলায় বন্ধু অ্যান্ড্রু নিওফিটোউ ছিলেন এই লেগস্পিনার জাদুকরের পাশে। ওয়ার্নের মৃত্যুর সময় কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটেছিল সেই বিষয় সামনে আনলেন অ্যান্ড্রু এবং ওয়ার্নের বন্ধু জেমস এরসকাইন।
এরসকাইন দীর্ঘদিন ওয়ার্নের ম্যানেজারও ছিলেন। এছাড়া এরসকান অ্যান্ড্রুর সহকর্মীও। ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এরসকাইন বন্ধু ওয়ার্নের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে যা বলেছেন, পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।
‘ওয়ার্ন এক বছরের লম্বা বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন আমি তাকে বলি, এত লম্বা সময় বিশ্রাম নিলে সবাই তোমাকে ভুলে যাবে। এরপর সে তিন মাসের বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
থাইল্যান্ডের দ্বীপ কোহ সামুইর লাক্সারি সামুজানা ভিলায় অবকাশ যাপন করছিল ওয়ার্ন। তার পাশের রুমে ছিলেন অ্যান্ড্রু।
তারা বিকাল ৫টায় হালকা পান করা শেষে কোন এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে বাইরে ঘুরতে যাবে বলে পরিকল্পনা করেছিল। ওয়ার্ন সাধারণত দেরি করতে পছন্দ করে না। কিন্তু সেই সময়ে না বের হওয়াতে অ্যান্ড্রু ৫টা ১৫ মিনিটে ওয়ার্নের রুমে যায়।
অ্যান্ড্রু সেখানে গিয়ে বলে ‘চলে এসো, তুমি দেরি করে ফেলছ।’ কিন্তু গিয়েই বুঝতে পারে, কিছু একটা খারাপ ঘটেছে। ওয়ার্নকে সে পড়ে থাকতে দেখে।
অ্যান্ড্রু দ্রুতই তাকে সোজা করে শুইয়ে সিপিআর দিতে থাকে। মুখ দিয়ে নিশ্বাস দিতে থাকে। এভাবে ২০ মিনিট ধরে সে চেষ্টা চালিয়ে যায়। এরপরে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স উপস্থিত হয়।
ওয়ার্নকে দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই পথ ছিল ২০ মিনিট দূরের। ঘটনা শুরুর ৪৫ মিনিট পর আমি ফোন পাই, যেখানে শুনতে পাই, ওয়ার্নকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।’
ওয়ার্নের সাবেক ম্যানেজার ও বন্ধু জানিয়েছেন, ওয়ার্নের পান করার বদাভ্যাস ছিল না। যদিও সবাই ভাবতো ওয়ার্নি প্রচুর নেশায় বুঁদ থাকে। কিন্তু ড্রাগ নেওয়াটা ঘৃণা করতো ওয়ার্ন বরং খেলায় ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করতো, এমনটাই জানিয়েছেন এরসকাইন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সবাই ভাবে সে ড্রিংকসে বুঁদ হয়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টি সত্য নয়। আমি তাকে একবার এক ক্রেট ওয়াইন পাঠিয়েছিলাম। দশ বছর পরেও সেটা একই রকম ছিল। সে একবারও পান করেনি। সে ড্রাগও নেয় না। ড্রাগ নেওয়া ঘৃণা করে। সে হয়ত পোকার বা গলফ খেলত। কিংবা সন্তানদের সঙ্গে সময় দিত। অথবা নিজেকে নিজেই সময় দিতে পছন্দ করত।’
ওয়ার্নের এমন বিদায় মেনে নিতে পারেনি তার তিন সন্তান ব্রুক, সামার এবং জ্যাকসনের কেউই। শেষ শনিবার ওয়ার্নের সঙ্গে তার সন্তানের তাদের দাদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।