স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের আগে আপনি কী খেয়েছিলেন?
অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলার পর এমন প্রশ্ন আন্দ্রে রাসেলের কাছে মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। তাইতো সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন শুনে হাসলেন ক্যারিবীয় হার্ডহিটার।
বোলারদের নাকানিচুবানি খাওয়ানো এক ইনিংস। বিস্ফোরক, ক্যামিও, বিধ্বংসী; যা-ই বলা হোক না কেন, সব বিশেষণই যেন ওই ইনিংসের কাছে অতুলনীয়। দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে অকল্পনীয় জয়ে ফাইনালে নিয়ে যাওয়া এক ইনিংস।
মিরপুরে বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩.২ ওভারে রাজশাহী রয়্যালসের রান মাত্র ৮০, উইকেট নেই ৪টি। ৪০ বলে তখন রাজশাহীর প্রয়োজন ৮৫ রান। সেখান থেকে রাসেল ২২ বলে খেললেন অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস। তাতেই রাজশাহী বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে।
রাসেলের ৭ ছক্কার ৩টি গ্যালারিতে। বাকি ৪টি দৃষ্টিসীমার বাইরে। মাটি কামড়ে সীমানার বাইরে বল গেছে দুবার। ফিল্ডারদের ধরার সাধ্যও নেই। ২৪৫.৪৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ওলটপালট চট্টগ্রাম। বলে-কয়ে এরকম ইনিংস খেলা কি খুব সহজ? রাসেলের উত্তর- নাহ!
‘কোনো ইনিংস খেলাই সহজ নয়। আপনাকে ২২ গজে নেমে খেলতে হবে এবং প্রত্যাশায় থাকতে হবে যেন টাইমিংয়ে কোনো গড়বড় না হয়। সীমানায় সব সময়ই ফিল্ডার থাকে। তাদের এড়িয়ে চলতে হয়। আমি চেষ্টা করছিলাম যতটা সম্ভব টাইমিং মেলানোর। গ্যাপ দেখে শট খেলার চেষ্টায় ছিলাম। ফিল্ডারের ওপর দিয়ে মারার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। এভাবেই খেলতে খেলতে কাজ হয়ে গেল’- বলেন রাসেল।
নিজের ইনিংস নিয়ে যতটা সহজে কথা বলেছেন রাসেল, ততটা সহজ ছিল না মোটেও। ২২ গজে কাটাতে হয়েছে কঠিন সময়ও। তবুও নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন। জানতেন, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিলে ফল নিজেদের পক্ষেই আসবে। সেটাই হয়েছে। বিজয়ের হাসি নিয়েই ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে।
কিন্তু ওই প্রশ্নের উত্তরই তো জানা হলো না! ম্যাচের আগে কী খেয়েছিলেন রাসেল?
হাসিমুখে সহজ স্বীকারোক্তি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানের, ‘আসলে কিছু ফল আর ডাবের পানি খেয়ে মাঠে নেমেছিলাম।’ রাসেলের উত্তরে হাসির রোল পড়ে যায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে।
ফল আর ডাবের পানি! এতেই কামাল করলেন রাসেল। রুবেল, রানা, এমরিটরা টের পেলেন রাসেল-ঝড় কাকে বলে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।