১) মাউথ ফ্রেশনার: পান পাতা খাওয়ার ফলে যে রস উত্পাদন হয় তা আমাদের দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। এছাড়াও পান পাতার রস আমাদের মুখের ভেতরটা পরিষ্কার রাখে। এমনকি, মুখের মধ্যে রক্তপাতও বন্ধ করে। পান বেটে তার রস এক কাপ হাল্কা গরম পানি মিশিয়ে রোজ সকালে তা দিয়ে গার্গল করুন। কয়েকদিনর মধ্যেই তফাত দেখতে পাবেন।
২) নাক থেকে রক্ত পড়া থামায়: অনেক সময় সান স্ট্রোক হওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এটা বন্ধ করতে একটা পান পাতা পাকিয়ে তা নাকের মধ্যে গুঁজে দিন। মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রাখেতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। আসলে পান পাতা খুব তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে।
৩) কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে: পান পাতার আরো একটা বড় সুবিধা হল এটা কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা পানের রস আর কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কানের মধ্যে দিলে ব্যথা কমে যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
৪) অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন: ছোটখাটো কাটা ছেড়ায় পান বেটে লাগিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও যাদের আর্থারাইটিস আছে তাদের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা।
৫) ডিওডোরেন্টের কাজ করে: বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন। গোসল করার পানিতে কিছুটা পান পাতার রস মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে গোসল করলে সারাদিন ফ্রেশ লাগবে। এছাড়াও ঘাম কম হবে। পান পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানিপান করলে ঘামের গন্ধ কমবে। এমনকী মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন স্মেল ও কমবে।
৬) প্রস্রাব করতে সাহায্য করে: বিশেষত কিডনির রোগ আছে যাদের তাদের প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়। এই কষ্ট কমাতে সাহায্য করে পান পাতা। শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেয়ার ক্ষমতা আছে পান পাতার। দুধের সঙ্গে পান বেটে খেলে এই ব্যাপারে সাহায্য পাবেন।
৭) ভ্যাজাইনাল হাইজিন ঠিক রাখে: ভ্যাজাইনাল বার্থের পর তাজা পান পাতা ভ্যাজাইনাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা ভ্যাজাইনাল ইচিং ও সারিয়ে দেয়।
৮) ত্বকের জন্য ভালো: খুব কম লোকেই জানে পানে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে তা পিম্পল, অ্যাকনে সহজেই সারিয়ে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কিন অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি, কালো ছোপ, সান বার্ন সারিয়ে দেয়। এর জন্য কয়েকটা তাজা পান পাতা আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে লাগাতে হবে।
৯) মাথা ব্যথা কমায়: গরমের কারণে মাথা ব্যথা করলে কপালে কয়েকটা পান পাতা রাখুন। এছাড়াও পান পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি মাথা ব্যথা কমে যায়।
১০) অ্যান্টি ফাংগাল: শরীরের যেসব অংশে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে- যেমন পায়ের আঙুল, প্রভৃতি সেই সব জায়গায় পানপাতার রস লাগান। কয়েকদিনের মধ্যে ইনফেকশন সেরে যাবে।
১১) সর্দি কমায়: বুকে কফ জমে গেলে সরিষার তেল আর পান পাতা ভালো করে গরম করে বুকে লাগাতে হবে। এছাড়াও ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে পান পাতা, এলাচ, লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে গাঢ় করে খেতে হবে।
১২) হজমশক্তি বাড়ায়: সাধারণত খাওয়ার পর পান খাওয়া হয়। এটা করা হয় কারণ পান হজম করতে সাহায্য করে। গ্যাস, অম্বলও কমায়। এছাড়াও যাদের কনস্টিপেশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যেও উপকারী। পেট খারাপ হলে পেটে যে ব্যথা করে অনেকসময় তাও কমাতে সাহায্য করে।
১৪) মেটাবলিজম বাড়ায়: নিয়মিত পান খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে। এর ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায়। যা বিভিন্ন প্রটিন, ভিটামিন, মিনারেল শুষে নিতে সাহায্য করতে। এজন্য ওজন কমে তাড়াতাড়ি।
১৫) খিদে বাড়ায়: পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক করতে সাহায্য করে পানের রস। এর ফলে পেটে বায়ু হয় না এছাড়াও পেট ফাঁপা কমায়। পান পাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এর ফলে খিদে বাড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।