জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে সসম্মানে পদত্যাগ করতে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এছাড়া, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রেও উপাচার্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টা আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার তার নৈতিক অধিকার নেই। এর মধ্যে তিনি দুর্নীতির সব তথ্য গোপন করে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। এজন্য আমরা মনে করি তার সসম্মানে পদত্যাগ করা উচিত।’
জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গত শনিবার পদচ্যুত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযোগ উঠেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উপাচার্যের মদদে। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদেরও এক কোটি টাকা দিয়েছেন।
অধ্যাপক ফারজানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা উপাচার্যের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য ফারজানাকে অপসারণের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।