জাবেদ পাটোয়ারী ও মিহির কান্তি মজুমদারের পাসপোর্ট বাতিল

জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী ও তাঁর স্ত্রী হাবিবা হোসেনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

এ ছাড়া সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পাসপোর্ট বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার এই চারজনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন। গতকাল নতুন করে আরও চারজনের পাসপোর্ট বাতিল করা হলো।

২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আইজিপি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। ২০২০ সালে তাঁকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত করে আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ আগস্ট জাবেদ পাটোয়ারীর নিয়োগ বাতিল করে তাঁকে দেশে আসার নির্দেশ দেয়। তবে তিনি দেশে আসেননি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, তিনি দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হন মিহির কান্তি মজুমদার। ২০১৪ সালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মিহির কান্তি মজুমদার। যদিও দল থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

মিহির কান্তি মজুমদারের ছোট ভাই বনজ কুমার মজুমদার ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান। গত ৩০ জুলাই তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দুদকের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর এ দুজনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।