জুমবাংলা ডেস্ক : কন্যা সন্তানই প্রসব করেছেন দিপ্তী দাস (২০)। কিন্তু তার মা সুভা রানী এনিয়ে সৃষ্টি করেন জটিলতার। অভিযোগ আনেন নবজাতক বদলের। তার মেয়ের ছেলে সন্তান হয়েছিল বলে দাবী করেন তিনি। কিন্তু তার এই দাবী পরে টিকেনি। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন নবজাতকের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
পরে অবশ্য শোভা রানী স্বীকার করেন, তার মেয়ের আগের সন্তানও কন্যা। সে কারণে এবার কন্যা সন্তান হওয়ায় স্বামী নাখোশ হতে পারে ভেবে তিনি কাছাকাছি সময়ে জন্ম নেয়া আরেকটি ছেলে সন্তান তার মেয়ের বলে দাবী করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ার সজিব দাশের স্ত্রী দীপ্তি গেল ২৩ নভেম্বর রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের পিএম গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক শামিমা রহমান সুমি তার সিজারিয়ান করেন। এতে তার কন্যা সন্তান হয়৷
এর আগে সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুরের শাহআলমের স্ত্রী তামান্নার (১৮) সিরারিয়ান করেন চিকিৎসক মারিয়া পারভীন। এরপরই নবজাতক বদল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দীপ্তির মা।
সুভা রানী সরকার বলেন- গেল ২৪ জুলাই ডা. তোফায়েল হক আলট্রাসাউন্ড করে জানান ছেলে বাচ্চা হবে। কিন্তু আমাদের মেয়ে বাচ্চা কিভাবে হলো।
তামান্নার স্বামী শাহ আলম বলেন, সকাল ১১টার দিকে সিজার হয় আমার স্ত্রী তামান্নার৷ তারপর সঙ্গে সঙ্গে ডা. মারিয়া পারভীন বলেন আপনাদের ছেলে হয়েছে৷ তিনি বলেন, আমার বাচ্চা সিজার হওয়ার ১৫ মিনিট পর দীপ্তী দাসের বাচ্চা সিজার হয়। কিন্তু তারা দাবী করেন ছেলে বাচ্চা নাকি উনাদের৷
চিকিৎসক শামীমা রহমান সুমি বলেন, মারিয়া আপার পর আমি দীপ্তির সিজার করি এবং সে মেয়ে বাচ্চা প্রসব করে৷ বাচ্চা অদলবদলের কোনও সুযোগ নেই। সিজারের পর প্রতিটি বাচ্চার পায়ে মায়ের নাম লিখা থাকে৷ পরে অবশ্য দীপ্তির মা স্বীকার করেন তার মেয়ের জামাই সজীব দাস মেয়ে বাচ্চা পছন্দ করে না। সে কারণেই তিনি এই কাণ্ড করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।