জুমবাংলা ডেস্ক: হঠাৎ করেই বাবাকে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে আরিফের। মাসের শেষ। হাত খালি। বিকাশ অ্যাপে ঢুকে কোনো রকম জামানত ছাড়াই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সিটি ব্যাংকের ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাবাকে পাঠিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেলেন আরিফ।
তিনি বলেন, ‘মাস চারেক আগের ঘটনা। একবারে বেতন থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করে মাস চলা দুঃসাধ্য হতো। লোনের টাকা তিন কিস্তিতে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে শোধ করে দিতে পেরেছি। প্রযুক্তির আশীর্বাদ যে বলে, এ যেন তেমনই এক আশীর্বাদ।’
কোনো রকম জামানত নেই, নেই কোনো কাগজপত্রের ঝামেলা, কোথাও যেতেও হয় না। নির্ধারিত সুদ হারে পরিশোধও সহজ। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এত সব সুবিধাযুক্ত ন্যানো লোন প্রথম নিয়ে এসেছে বিকাশ। এক বছরের সফল পাইলট প্রকল্প শেষে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ন্যানো লোন সেবা বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সিটি ব্যাংক থেকে ১৭৫ কোটি টাকা লোন নিয়েছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যার ১২৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। মেয়াদান্তে বাকি লোনের পরিশোধ প্রক্রিয়া চলমান।
বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রেজার ঋণ নেওয়ার অভিজ্ঞতাটা ছিল ভিন্ন। ঈদের আগে পরিবারের জন্য কেনাকাটার সময় হঠাৎ কিছু টাকা ঘাটতি পড়ে। ওই মুহূর্তে অন্য কোনো উৎস থেকে টাকা না পেলে আবার পরে কেনাকাটার জন্য যেতে হতো। সবার শখের জিনিসগুলোও কেনা হতো না। তিনি বলেন, বিকাশ দিয়ে সেন্ড মানি, পে বিল, মোবাইল রিচার্জসহ অনেক কাজই করি। জামানত ছাড়া হঠাৎ এই ঋণ পাওয়ায় তাঁর অনেক উপকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের দিকে একবার ব্যাংক থেকে কিছু টাকা লোন নিয়েছিলাম। কাগজপত্র প্রসেস করে লোন পেতে এত সময় লেগেছিল, পরে আর যেতে ইচ্ছা হয়নি।
বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন পরিশোধ করাটা খুবই সহজ। পরিশোধের নির্ধারিত তারিখের আগেই নোটিশ আসে, ফলে নিজেকে মনেও রাখতে হয় না। বিকাশ যে তাৎক্ষণিক জামানতবিহীন লোনের সঙ্গে পরিচয় করাল, তা অনেকের জীবনকেই সহজ করে দিচ্ছে।
ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিক ঋণ দিতে এর যাত্রা শুরু হয়। গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন ডিজিটাল ন্যানো লোন পেতে পারেন। বার্ষিক ৯% সুদে তিনটি মাসিক কিস্তিতে বিকাশ অ্যাপ থেকেই ঋণ পরিশোধ করার সুযোগও রয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তায় দৈনিক হারে সুদ নির্ধারিত হয়। ফলে মেয়াদ পূর্তির আগেও ঋণ পরিশোধ করা যায় এবং সে ক্ষেত্রে শুধু সেই কয়েক দিনের জন্যই সুদ বহন করতে হবে।
ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি : গ্রাহককে তাঁদের বিকাশ অ্যাপের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোন’ আইকনে ট্যাপ করতে হবে। পরবর্তী ধাপে সিটি ব্যাংক অনুমোদিত সীমার মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ঋণের পরিমাণ লিখতে হবে এবং শর্তাবলিতে সম্মতি দিতে হবে। এর পর বিকাশ পিন দিলে অবশ্যই ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা সাপেক্ষে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক।
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, মানুষের আর্থিক লেনদেন সহজ ও স্মার্ট করতে আমরা কাজ নিরন্তর করে যাচ্ছি। জামানতবিহীন ডিজিটাল ‘ন্যানো লোন’ সব পেশাজীবী মানুষের জন্য দারুণ স্বস্তির। ব্যাংকে না গিয়েই ব্যাংকের এ ঋণ সব শ্রেণির বিকাশ গ্রাহকের কাছে তাঁদের ক্রেডিট রেটিং অনুসারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই অনন্য উদাহরণ তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশে প্রথম। সামনের দিনে আরও বড় পরিসরে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ন্যানো লোন দেওয়ার পথ সুগম করতে বিকাশের এ অনন্য উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।