
মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক রাষ্ট্র সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সোমবার (১৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এই সফরে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ ইস্যুতে জোরালো অবস্থান নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। খাশোগি হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি দীর্ঘদিনের সম্পর্ক উত্তেজনার মুখে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, সফরে যুবরাজ সালমানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প–এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্প ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন যুবরাজ সালমান। ট্রাম্পের সৌদি সফরে দেওয়া বিলাসবহুল সংবর্ধনা এবং ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ অঙ্গীকারের পর সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
সালমানের সফরের আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি সৌদি আরবকে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যুক্ত করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন—যা তার প্রশাসনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের এ ধরনের স্বাভাবিকীকরণে সম্মত হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর উপসাগরীয় দেশগুলো নিরাপত্তা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে। ফলে যুবরাজের প্রধান লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়া।
সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, সিংহাসনের ৪০ বছর বয়সী এ উত্তরাধিকারী মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তিন দিনের সফরে ওয়াশিংটনে জ্বালানি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্রিক এক যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি বিনিয়োগ ফোরামও অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



