আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে হুমকি বেড়েছে। নতুন এক পরিসংখ্যান বলছে, স্থানীয় রাজনীতিকরা পড়ছেন ঝুঁকির মুখে। রাজনীতিবিদ ও দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের হুমকি ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে শতকরা ৯ ভাগ বেড়েছে। এমনই তথ্য জানা গেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান থেকে।
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গালাগাল, হেটস্পিচ ছাড়াও দলের অফিস ভাঙচুর, দেয়াল লিখন, অগ্নিসংযোগ এমন কি কিছু শারীরিক হামলার ঘটনাও এর মধ্যে রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয় এএফডি বা উগ্র ডানপন্থীদল। পরিসংখ্যানে নিপীড়নের শিকার হওয়ার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল এবং তৃতীয় স্থানে সবুজদল বা গ্রিন পার্টির সদস্যরা।
ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ প্রধান হলগার ম্যুনশ গত সপ্তাহে ডেয়ার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারিকালে রাজনীতিবিদ, ভাইরোলজিস্ট এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বেড়েছে’।
জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগের এএফডি দলের সদস্য মার্টিন হেস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে হুমকি বামপন্থী উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান তাই প্রমাণ করেছে। এসব ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক আইনের শাসনে অপমানজনক। যার ফলে আমরা নিয়মিত গাড়ি, অফিস এবং অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে হামলার মুখোমুখি হচ্ছি।’
গত কয়েক বছরে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বাড়তে থাকায় জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারসহ শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক জার্মান সংস্কৃতির এই অবক্ষয়ের নিন্দা করেন। এসপিডি দলের মুখপাত্র উটে ফোক্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমি মনে করি রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য সবসময়ই শক্তিশালী নার্ভের দরকার। তবে মানুষের প্রতি সম্মান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বর্তমানে তা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।’
দেশটির গ্রিন পার্টির পলিসি মুখপাত্র ইরেনে মিহালিক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বুন্ডেসটাগের সদস্য হিসেবে তুলনামূলকভাবে আমরা সুরক্ষিত, আমাদের কেউ হুমকি দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে যারা আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ এবং দলীয় স্বেচ্ছাসেবী নিয়মিত জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা কম থাকে। তাদের জন্য আসলে বেশি বিপদ।’
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে ক্যাসেলের স্থানীয় সরকার প্রধান ভাল্টার ল্যুবকেকে নিজের বারান্দায় গুলি করে খুন করা হয়। ২০১৫ সালে কোলোনের মেয়র প্রার্থী হেনরিটেকে ছুরিকাঘাত ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।