জুমবাংলা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চেক জালিয়াতি করে ৩৫ লাখ টাকা তোলার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে। তারা হলেন- ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত ইন্সপেক্টর মীর আবুল কালাম আজাদ (৫৪) ও এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চেক জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু স্বাক্ষরের নমুনা দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি জানানো হয় প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে। নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চেক নম্বর মিলিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চেক জালিয়াতি ও নকল স্বাক্ষরের ব্যাপারে অবহিত করা হয়।
এই ঘটনায়, নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং ৩৩) দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুলাই মীর আবুল কালাম আজাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান সুকৌশলে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)-এর চেক নং ক-৭৮৬৮২৯৩ সংগ্রহ করে অঙ্কের ঘরে ৩৫ লাখ টাকা লিখে জাল স্বাক্ষর করে সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় জমা দেয়। এরপর ২৮ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফোন করে নমুনা স্বাক্ষরে মিল না থাকার কথা জানানো হয়। পরে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম ব্যাংক ম্যানেজারকে ফোন করে চেকটির ক্লিয়ারেন্স না দিতে অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখা বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মীর আবুল কালাম আজাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটকের পর বুধবার (২৮ আগস্ট) তাদের রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।