জুমবাংলা ডেস্ক: বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদে নগেন্দ্র নাথ নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৪০টি পাঙ্গাশ মাছ। চার কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত একেকটির ওজন। সবমিলিয়ে তার জালে উঠেছে ১৬০ কেজি পাঙ্গাশ। দরিদ্র জেলে সেই পাঙ্গাশ বিক্রি করেছেন এক লক্ষ টাকায়।
এক সঙ্গে এতোগুলো পাঙ্গাশ পেয়ে মহাখুশি জেলে নগেন্দ্র নাথ।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জালে ধরা পড়ে পাঙ্গাশগুলো। পরে শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে গেলে নিলামে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় মাছগুলো। সর্বোচ্চ দরদাতা রায়েন্দা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন ও মনির হোসেন মাছগুলো কিনে নেন। রাতের মধ্যেই সমস্ত পাঙ্গাশ খুচরা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে যায়।
জেলে নগেন্দ্র নাথ জানান, তার বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী এলাকায়। তিনি পূর্ব সুন্দরবনের বগী স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে বলেশ্বর নদে জাল ফেলে নিয়মিত মাছ ধরেন। প্রতিদিনের মতো ওইদিন (রবিবার) সকালে জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যায় জাল তুলতেই অবাক বনে যান তিনি। জাল টানতেই একে একে উঠে আসে ৪০টি পাঙ্গাশ। তিনি ১৫-১৬ বছর ধরছেন। কিন্তু একসাথে এতো আর কোনোদিন পাননি বলে জানান জেলে নগেন্দ্র নাথ।
নিলাম ক্রেতা বেল্লাল ও মনির জানান, তারা নিলামের মাধ্যমে ৬২৫ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাসগুলো কেনেন। রাতে বাজারে ওঠানোর পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই সবগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তারা ৮০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করেছেন। নদীর পাঙ্গাশ সবসময় পাওয়া যায় না। তাই এই পাঙ্গাশের চাহিদা ক্রেতাদের কাছে সবসময় বেশি থাকে।
বলেশ্বর নদে একসঙ্গে এতো পাঙ্গাশ ধরা পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, সরকার মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বছরে প্রায় প্রায় তিন মাস মাছ ধরায় নিষধাজ্ঞা থাকায় মাছের নিরাপদ প্রজননের পাশাপশি বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। পাঙ্গশসহ সব ধরণের মাছের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে পাঙ্গাশগুলো নদ-নদীতে উঠে আসার ফলে জেলের জালে ধরা পড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।