জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আঘাত হানার আশঙ্কায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোকে আগেভাগেই জেটি ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র কারণে আবহাওয়া অধিদপ্ততর দেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলার পর এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুসারে সাধারণত ৫ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলাকালে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
তাই বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বন্দরে অবস্থানরত জাহাজসমূহকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেভাগে বন্দর ত্যাগের নির্দেশ দেন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী মাছধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় আটটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিশেষ বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। বৈঠকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে তাদের। এরই মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। মজুদ আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার ও টিনসহ অন্যান্য সামগ্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।